১৯৯৬ সাল থেকে পথ চলা শুরু করেন। প্রথম বিপুল পরিচিতি পান ২০০২ সালে। টানা ৬ বছর ব্যাপক স্ট্রাগল করার পর প্রচারের আলোয় আসেন মনোময় ভট্টাচার্য (Manomoy Bhattacharya)। এখন বাংলা সংগীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। দেখতে দেখতে তিনি এই সংগীত জগতে ২৭ বছর কাটিয়ে ফেললেন। নিজের লড়াই থেকে বর্তমান সময়ে গান নিয়ে নানা বিষয় জানালেন HT বাংলাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে।বেহালার বাসিন্দা হলেও এই দিকে তিনি বিশেষ শো করেন না। কিন্তু নিজের পুরনো জায়গায়, চেনা পাড়ায় বহু বছর পর একটি শোতে দেখা মিলল তাঁর। আর সেটারই ফাঁকে নানা বিষয়ে জানালেন নানা মত।কেমন কাটছে তাঁর এই ২৭ বছরের সংগীত জীবন? গায়কের কথায়, 'ভালো মন্দ মিশিয়ে ২৭ বছর কাটল। অনেকেই ২৫ বছর বলে ভুল করছেন। আমি আমার কেরিয়ার শুরু করেছি ১৯৯৬ সালে। অনেক স্ট্রাগল করেছি। এখনও করছি। তবে এখন বেশ কয়েকটি সিঁড়ি পেরিয়ে এখানে পৌঁছতে পেরেছি। এতদিন ধরে মানুষ প্রশ্রয় দিচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন বলে ভালো লাগছে।'মনোময় ভট্টাচার্যের গলায় শ্রোতারা মূলত রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, আধুনিক গান শুনেছেন। একটা আদর্শ মেনে বরাবর গান গেয়ে এসেছেন তিনি। মনোময়ের কথায়, 'আমি আদর্শ মেনে চলি। যা আমার রুচি নয় তেমন গান আমি গাইনি, গাইব না। আমি কখনও জিঙ্গেল গাইব না। তবে অন্য কেউ গাইতেই পারেন। আমি কাউকে ছোট করছি না। কিন্তু এটা আমার রুচি নয়।'গায়ক কথায় কথায় জানালেন তাঁকে তাঁর কেরিয়ারে বহু পরিশ্রম, লড়াই করতে হয়েছে। যখন তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হয়, আজকালকার যুগের গায়করা ইউটিউব বা ফেসবুকের মতো যে মাধ্যম পাচ্ছেন পরিচিতির জন্য তখন তেমনটা হলে কী জনপ্রিয়তা পেতে সুবিধা হতো? গায়কের কথায় 'আমি জনপ্রিয়তার জন্য ছুটিনি। আমি আমার মতো কাজ করে গিয়েছি। আমি চেয়েছি সবাই জানুক, মনে রাখুক আমার গান।' মনোময় কথায় কথায় আরও বলেন, 'ইউটিউব বা ফেসবুক আজকাল অনেক ক্ষেত্রে পরিচিতি পেতে সাহায্য করে ঠিকই। কিন্তু যবে থেকে এই মাধ্যম এসেছে তবে থেকে গান বাজনা অনেকটাই ভিডিয়ো কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে অডিওর বদলে। তাও মানুষ পুরো গান দেখে বা শোনেন না। এখন সবাই ৩০ সেকেন্ড, ১ মিনিটের রিল দেখেন। ফলে ইউটিউব থেকে গান যে বিশেষ পরিচিতি পায় এমনটা নয়। গান শোনার আসল মাধ্যম হল রেডিও। কিন্তু আজকাল আর রেডিও শোনে কজন? রেডিও শেষ। সব এখন ফোন। মানুষের গোটা দুনিয়াই বন্দি ফোনে।'গায়ক জানান আগামীতে তাঁর একটি নজরুল গীতির অ্যালবাম মুক্তি পাচ্ছে। তাঁর মতে এটি একটি আদর্শ কাজ হয়ে থেকে যাবে যার মূল্য প্রচুর।