অনুরাগের ছোঁয়ার 'মিশক💞া', এই নামেই এখন তাঁকে চেনেন টেলিভিশনের দর্শক। জীবনের প্রথম ধারা𝄹বাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন অহনা দত্ত। তিনি যে ভালো নৃত্যশিল্পী হওয়ার পাশাপাশি ভালো অভিনেত্রীও, তা তিনি প্রমাণ করেছেন। ইতিমধ্যেই, রাজ চক্রবর্তীর ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনয় করছেন অহনা।
তবে বড় পর্দায় অভিনয় করলেও জীবনের প্রথম ধারাবাহিক অহনার কাছে অনেকখানি। কারণ, 'অনুরাগের ছোঁয়া'র হাত ধরেই জীবনে প্রথম প্রেমকে খুঁজে পেয়েছেন টেলিভিশনের 'মিশকা'। অনুরাগের ছোঁয়ার মেকআপ শিল্পী দীপঙ্কর রায়ের হাত ধরেই অহনার জীবনে বসন্ত এসেছে। তবে এই বসন্তে, দোল কীভাবে সেলিব্রেট করছেন অভিনেত্রী? Hindustan Times Bangla-র কাছে সেই পরিকল্পনাই ফাঁস করলেন অহনা দত্ত।👍
অহনা দত্ত বলেন, ‘দীপঙ্করের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় দোল। আমরা⛦ এবার ওর (দীপঙ্কর রায়ের) দিদির বাড়িতে যাচ্ছি, বারুইপুরে। ওখানেই দোল কাটাব। ওদের বাড়ির সামনে মাঠ আছে। সেখানেই আবির খেলা হবে, রং খেলা হবে। তারপর বনভোজন। ওই পিকনিক হ꧅বে আর কি! ওর দিদির পরিবারের লোকজন থাকবে, আর আমি-দীপঙ্কর। ওইদিন কোনও কাজ, কোনও শ্যুটিং বা শো রাখা হয়নি। পুরো ছুটি কাটাব।’
ছোট থেকেই রং খেলতেন নাকি ভয় পেতেন?
অহনা বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই রং খেলতে খুব ভালোবাসি। দোলের দিন রেডি হয়ে থাকতাম রং খেলার জন্য। রাস্তা দিয়ে যে যাবে তাকে পিচকিরি দিয়ে রং দেব। কোনও গাড়ি গেলেও পিচকিরি দিয়ে রং দিতাম। দারুণ একটা বিষয় সেটা। আর তারপর যখন একটু বড় হলাম, ফ্ল্যাটে সকলে মিলে থাকতাম তখন তো মাথাফাটা র🅠ং, ব্যাটারির কালি, ডিমের কুসুম, কিছুই বাদ যাইনি। সবকিছু দিয়েই রং খেলতাম। এরপর যখন স্নানে যেতাম, তখনই টের পেতাম কী হয়েছে! বোতল বোতল শ্যাম্পু ঢেলেও কিছুই হত না। (হাসি)। তারপর রং মাখা গায়েই পরদিন স্কুলে যেতাম। গায়ে-মুখে, গোলাপি, সবুজ, আরও নানান রং লেগে থাকত বেশকিছুদিন।’
অহনার আফসোস, ‘তবে আগের মতো ওভাবে তো আর রং খেলতে পারব না। কারণ, এখন শ্য𒅌ুটিং থাকে। তাই অরগ্যানিক যে আবির হয়, সেটা দিয়েই খেলব। তবে রং খেলবই, চুটিয়ে খেলব। আমা♛র মনে হয় রং খেলা বিজ্ঞানসম্ভত, যদি সঠিকভাবে রং মাখা যায়।’
দোল তো বসন্তেই আসে। আর বসন্ত মানেই প্রেম প্রেম গন্ধ।🌠 ছোটবেলায় দোলে কি কোনও মিষ্টি প্রেমের স্মৃতি, বা কোনও অনুভূতির স্মৃতি আছে? ‘মিশকা’ অহনা বলেন, ‘ছোটবেলায় তো প্রেম করার সুযোগই পাইনি। কারোর সঙ্গে দেখা কর🔜ব, সেই পরিস্থিতিই ছিল না। মা থাকত সঙ্গে সবসময়। আমি যখন প্রেম বুঝেছি, তখন সেটা হয়ে গেছে। আর আমি দীপঙ্করের সঙ্গে থাকতেও শুরু করে দিয়েছি। তবে ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে দোলে খুব মজা করেছি।’
অহনা বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন হাবরায় দাদুর বাড়িতে যেতাম, তখন তো আমি ভ্যানে করে রং গুলে বের হয়ে পড়তাম। ভ্যান যাচ্ছে আমিও রং খেলছি, পিচকিরি মারছি। খুব মজা হত। আরও একটা দোল নিয়ে সুন্দর স্মৃতি আছে, সেটা হল বসন্ত উৎসবের। নাচের ক্লাসের উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হত। এবারও এ🎃মনই একটা দোল উৎসবের নিমন্ত্রণ আছে। সেখানে যাব ভেবেছি। পরে আমার ডান্স অ্যাকাডেমি বড় হলেও আমারও এধরনের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছ♍ে রয়েছে।’
দোলে কখনও ভাং খেয়েছেন নাকি? ‘না না ওরে বাবা। সবসময় মা থাকত। তারপর লোকজনকে যেভাবে ভাং খেয়ে উল্টে পড়ে থাকতে দেখেছি। তাতে তখন ভয়ই লাগত…। তবে অনেককে খেতে দ🔥েখেছি অবশ্য…।’