এখন টিআরপি-র ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন টেলি তারকারা। বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট কার্ডের উপরই নির্ভর করে যে কোনও মেগা সিরিয়ালের ভবিষ্যত। নম্বর একটু এদিক-ওদিক হলেই চ্যানেলের কোপ সইতে হবে! হয় জায়গা বদল নয় তো পাকাপাকিভাবে সিরিয়াল শেষ। আজকাল দু-মাস যেতে না যেতেই বন্ধ হচ্ছে ধারাবাহিক, সে জায়গায় সাফল্যের সঙ্গে ২০০ এপিসোড সদ্য পার করে ফেলেছে ‘রাঙা বউ’। বুধবার হইচই করে সির🌠িয়ালের সেটে ‘রাঙা বউ’-এর ২০০ দিন পূর্তি সেলিব্রেট করেছেন শ্রুতি-গৌরবরা। এর মাঝেই বৃহস্পতিবারও চওড়া হাসি গোটা টিমের মুখে।
এই সপ্তাহেও টিআরপি তালিকায় সেরা চারে নাম লিখিয়েছে রাঙা বউ। ৭.৭ নম্বর পেয়ে চার নম্বরে রয়েছে জি বাংলার এই মেগা। সিরিয়ালের টানটান পর্বে ঘায়েল দর্শকরা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শ্রুতির সঙ্গে। চওড়া হাসি তাঁর মুখে। অভিনেত্রী জানালেন, ‘খুব ভালো লাগছে। এই সপ্তাহে সবার কিন্তু টিআরপি অনেকটা কমেছে। একমাত্র রাঙা বউয়ের খুব অল্প নম্বর কমেছে। এর জন্য একমাত্র ক্রেডিট আমাদের দুর্দান💧্ত স্টোরিলাইন। গল্প ভালো হলে দর্শক কিন্তু সিরিয়াল দেখবেন। রাঙা বউ-কে প্রতিদিনই অনেক টুইস্ট আসছে, যেগুলোর জেরে মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন আগামিকালের এপিসোড দেখবার জন্য। আমরাও খুব মন দিয়ে চেষ্টা করছি কাজ করবার জন্য যাতে আমরা দর্শকদের আরও কাছের হয়ে উঠতে পারি’।
বুধবার সেটে জুড়ে ছিল হইচইয়ের আমেজ। একদিকে ‘রাঙা বউ’-এর ২০০ এপিসোডের জশন, অন্যদিকে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর বিয়ের এক মাস পূর্তি। বরের সঙ্গে সেটে কেক কেটেছে𝔉ন শ্রুতি। আর কী করলেন? কাজ থেকে ছুটি পাওয়া দায়। শ্রুতি বলেলন, 'আমরা দু'জন ছোট পরিসরে সেলিব্রেট করেছি। খাওয়া-দাওয়া ক🀅রেছি, সিনেমা দেখেছি। কাজ থেকে ফিরে যে-টুকু সময় পাওয়া যায় আর কী'।
মিস থেকে মিসেস হওয়ার পরবর্তী মুহূর্তগুলো চুটিয়ে উপভোগ করছেন শ্রুতি। জানালেন, ‘বিবাহিত জীবন দারুণ কাটছে। খুব খুশি রয়েছি আমরা দুজনে’। গত 💯৯ই জুলাই আমচকাই বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন রাঙা বউ' শ্রুতি দাস। বিয়ের খবর কাকপক্ষীকেও টের পেতে দেননি। সিরিয়ালের পরিচালক-প্রযোজক স্বর্ণেন্দু দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। ‘ত্রিনয়নী’র সেটে শুরু এই প্রেম কাহানির। আইনি বিয়ে সেরেছেন দুজনে, পূর্ণতা পেয়েছে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর প্রেম।
বিয়ের পরেই হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছিলেন, 'আমি টাকার জন্য স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারকে ভালোবাসেনি, পাশে থাকার জন্য ভালোবেসেছি। বিয়েটাও করেছি হাফ-হাফ খরচায়। মানসিক শান🧸্তি নিয়ে বিয়েটা করেছি। আমার খরচা আমার, বরের খরচা বরের। দু'জন মিলে ভাগাভাগি করে আমাদের সংꦏসার বেঁচে থাকবে'।