বলিউড আদতে বিভিন্ন ছোট-বড় দল এবং জোটে ভাগ হয়ে রয়েছে। সুতরাং 'আনুগত্য' দেখলেই মিলবে কাজ। টিকবে অস্তিত্ব। এমনটাই মনে করেন অভয় দেওল। বলিউড🍌ের অন্যতম বিখ্যাত 'দেওল' পরিবারের ছেলে হয়েও তাঁর দাবি, নামকরা ফিল্মি পরিবার থেকে এলেই যে দারুণ সব লোভনীয় ছবির অফার সেই ব্যক্তি পরপর পেয়ে যাবেন, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।
নিজের মন্তব্যের পিছনে উভয়ের যুক্তি,' দিনের শেষে সাধারণত আজও আমরা কোনও ব্যাপারে ঝুঁকি নেওয়ার তুജলনায় বিশ্বস্ত কোনও কিছুর ওপরেই ভরসা করে থাকি। সে জিনিস হোক কিংবা মানুষ। আসলে আমরা বড়ই হয়েছি এরকমভাবেই। তাই বলিপাড়ায় কোনও 'আউটসাইডার'-ও যদি প্রবেশ করেন এবং নির্দিষ্ট কারও প্রতি নিজের আনুগত্য বজায় রাখেন, বিশ্বস্ততার প্রমাণ দেয়, তাহলে তাঁর পক্ষে পরপর কাজ পাওয়া মোটেই এমন কিছু কঠিন নয়।' এহেন মন্তব্যের পিছনে যে টিনসেল টাউনের এই 'অলিখিত নিয়ম'-কে কটাক্ষ করেছেন এই তারকা তা আর আলাদা করে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি,'জু💮ম'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেওয়াকালীন এহেন মন্তব্য করেন অভয়। এই জনপ্রিয় বলি-অভিনেতার দাবি, চাইলে তিনিও বলিপাড়ায় কাজ পাওয়ার জন্য 'সেতু' তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু না, তিনি তা কেননি। অভয়ের কথায়, ' বলিপাড়ায় এরকম ভিড়ের থেকে খানিক দূরে থাকার ব্যাপারটা অতটাও খারাপ নয়। তবে বলিপাড়া যদি একবার টের পায় যে কোনও ব্যক্তি এখানকার কোনও দলেরই সদস্য হতে চাইছে না, তাহলে তাঁকে স্রেফ ছুড়ে ফেলা হবে। সে ব্যক্তি যদি কোনও ফিল্মি পরিবারেরও সদস্য হয়, তাতেও কিছু যায় আসবে না ! কিন্তু কেউ যদি বলিপাড়ার কোনও জোটের সদস্য হতে চায় তাহলে তো ল্যাঠা চুকেই গেল।' বলি-অভিনেতার আরও সংযোজন,' একবার টিকে গেলে, জোটের প্রতি সেই শিল্পীর আনুগত্য প্রমাণ হয়ে গেলেই কাজের অভাব হবে না। দলের মাথা যদিতাঁর ওপর খুশি হয়ে যায়, ব্যাস তাহলে আর কোনও চিন্তায় নেই।'
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে 'সোচা না থা' ছবির মাধ্যমে ডেবিউ করার পর হাতে গোনা হলেও নজর কেড়েছে অভয় অভিনীত সব ছবি। তালিকায় রয়েছে 'দেব ডি', 'ওয়ে লাকি, লাকি ওয়ে', 'জিন্দেগি মিলেগি না দোবারা'-র মতো সব ছবি। রয়ে🍌ছে 🅘কয়েকটি ওয়েব সিরিজও। এইমুহূর্তে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অভয় অভিনীত ডিজনি-র নতুন ছবি 'স্পিন'।