শোবিজ জগতে পা রাখতে গেলে অবশ্যক ফটোশ্যুট। নিজের ফ্রেমবন্দি ছবি বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউজে জমা দিয়ে থাকেন উঠতি অভিনেত্রী-মডেলরা। কিন্তু ফটোশ্যুট করতে গিয়ে এমন বিপদের মুখে পড়তে হবে দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি কিশোরী। আরও পড়ুন-বিয়ে বাড়িতে সেজে উঠুন বি-টাউনের নায়িকাদের মতো! দিশা থ꧂েকে অনন্যা দিচ্ছ🐽েন টিপস
ফটোশ্যুটের জন্য ৫০,০০০ টাকা দিয়েছিলেন নাবালিকা। শ্যুট শেষে ছবি হাতে আসবে। &nbsꦯp;তবে খাস শহর কলকাতায় এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হবেন, দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি ওই তরুণী। শুরুতে ফটোশ্যুট স্বাভাবিক নিয়মে এগোলেও কিছুক্ষণ পরেই তাল কাটে। ফটোগ্রাফার দাবি জানায়, পোশাক খুলে নগ্ন হতে হবে! তাতেই বিপত্তি, শুরুতে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় ওই নবালিকা। কড়া ভাষায় জানানো হয় নগ্ন না হলে খেতে হবে চড়! এরপর বাধ্য হয়েই টপলেস ফটোশ্যুট করেন ওই মডেল।
এমনই অভিযোগ জানিয়ে ওই নাবালিকা দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুলিশের। গল্ফগ𝓰্রিন থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় ২৮দিন আগে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে, কারণ নির্যাতিতার বয়স এখনও ১৮ পার করেনি। অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার পলাতক, খবর পুলিশ সূত্রে। জানা যাচ্ছে, আজ বুধবার আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানাবেন অভিযুক্ত ফ্যাশন ফটোগ্রাফার। অভিযুক্ত সরশুনা শ্যামসুন্দর পল্লীর বাসিন্দা।
নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, টপলেস ফটোশ্যুটে তাকে বাধ্য করেছিল ওই ফটোগ্রাফার, রীতিমতো শাসানো হয়, মারার ভয় দেখানো হয়। ৫০,০০০ টাকা আগাম দিয়ে ফেলায় মহাফ্যাঁসাদে পড়েছিলেন তিনি। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল টপলেস শ্যুট না করলে কোনও ছবিই দেওয়া হবে না। নাবালিক🦩া বলছে, ‘🔯জামা না খুলতে চাইলে, আমাকে চড় মারা হয়, চুলের মুঠি ধরে টানা হয়।'
জানা গিয়েছে, অপর এক মডেল গত অক্টোবর মাসে একইধরণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যার জেরেই পুলিশ মনে করছে এর পিছনে রয়েছে কোনও চক্র। যারা উঠতি মডেলদের ফাঁসাচ্ছে। অভিযোগকারিণীর আইনজীবী সুকান্ত বিশ🍬্বাসের কথায়, পুলিশে অভিযোগ দায়ের পরেও বারবার হুমকি ফোন আসছে নাবালিকার কাছে। ওই নাবালিকার কথায়, ফটোগ্রাফার তাঁকে একটি বিশেষ সাইটের জন্য ফটোশ্যুট করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘উল্লু’ নামক এক সাইটের জন্য নাকি প্রস্তাব এসেছিল। কী এই উল্লু তা সঠিকভাবে জানেন না অভিযোগকারিণী! তবে এর পিছনে রয়েছে কো📖নও পর্নোগ্রাফি চক্র? তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।