বাঙালিকে তাঁর প্রিয় খাবার জিজ্ঞেস করলে 𒅌অনেকেই জবাবে বলেন, ডাল-ভাত, আলুর চোখা। তবে আরও একটা খাবারের নাম শুনলে সবার মুখে আসে জল। আর তা হল বিরিয়ানি। চাকরি পাওয়ার আনন্দে হোক বা প্রেম ভাঙার দুঃখে, বিরিয়ানি সবেতেই লা জবাব।
নর্থ কলকাতায় যারা থাকেন, তাঁদের কাছে আমিনিয়া বা আর্সালানের পাশাপাশি আরও দুটো নাম খুব বিখ্যাত। দাদা বউদির বিরিয়ানি আর ডি বাপি। দাদা বউদির বিরিয়ানির নাম যদিও বহু বছর ধরে, তবে বর্তমান সময়ে ডি বাপি পেয়েছে ভালোই জনপ্রিয়তা। এমনকী, অনেকেরই দাবি ব্যারাকপুরে নাকি ♚বিরিয়ানি বিক্রিতে কড়া টক্কর চলে এই দুটো দোকানের।
আপনিও কী জানতে চান, কার বিরিয়ানির স্বাদ বেশি? খুঁজে বের করল এক ফুড ভ্লগার। পায়েলের রান্নাঘর আর লাইফস্টাইল চ্যানেলের পক্ষ থেকে করা হল আলোচনা। দেখা গেল, অনলাইনে দুটি বিরিয়ানিই বাড়িতে আনিয়েছেন সেই মহিলা। প্রথম দেখাতে সে এগিয়ে রাখে ডি বাপিকেই। কারণ দাদা বউদির বিরিয়ানিতে আলুর মাপ যেমন ছোট, তেমন চিকেনও। যা দেখে সে রেগেমেগে বলে ওঠে, ‘দিনদিন বিরিয়ানির দাম বাড়াচ্ছে। আর চিকেনের সাইজ ছোট করছে’। এদিকে ডি বাপিতে আলু আর চিকেন ꦰদুটোই বড়ﷺ দাদা বউদির থেকে।
তবে বিরিয়ানি মুখে দিতেই সব বদলে গেল। দেখা গেল ডি বাপির বিরিয়ানিতে চিকেন শক্ত, আলুও তেমন সেদ্ধ হয়নি। এদিকে চিকেন সেদ্ধ হয়ে তুলতুলে দাদা বউদিতে। যেন মুখে দিলেই গলে যাবে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে ඣকার্যকর হবে না ‘পহেলে দর্শনধারী ফির গুণবিচারী’।
তবে দাদা বউদির বিরিয়ানির দোকানের ভক্তরা কিন্তু বেজায় চটেছেন। একজন লিখলেন, ‘আমি অনেক ডি বাপির বিরিয়ানি খে🍃য়েছি। কই এত বড় চিকেনের পিস তো দেয়নি। নিশ্চয়ই টাকা খেয়ে এই মেয়েটা এই ভিডিয়োটা করছে।’ অপরজন লিখলেন, ‘দেখেই বোঝা যাচ্ছে কিছুই বোঝে না মেয়েটা বিরিয়ানির। শুধু ভিউ পাওয়ার চক্করে ভুলভাল বকছে।’
সম্প্রতি দাদা বউদির বিরিয়ানির দুই কর্ণধার অর্থাৎ আসল ধীরেন আর সন্ধ্যা এসেছিলেন জি বাংলার রিয়েলিটি শো দাদাগিরিতে। আর সেখানে এসেই বয়স্ক দম্পতি জানিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালে শুরু তাঁদের হোটেলের। যদিও তখন বিক্রি করতেন ভাত-ডাল-তরকারি-মাছ-মাংস। এলাকার লোকই নাম দিয়েছিল দাদা বউদির হোটেল। এরপর ধীরে ধীরে চালু করেন বিরিয়ানি। তাও প্রায় বছর চল্লিশ আগে। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে ত🥀াকাতে হয়নি।
বর্তমানে দোক🐽ান দেখছেন ধীরেনবাবুর দুই ছেলে। এক ছেলে, সঞ্জীব এসেছিলেন দাদাগিরিতে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, প্রতিদিন এক-একটা কাউন্টার থেকে ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বছরে আয় হয় ১০০ কোটি মতো।