দেশে বিদেশে রাজকীয় ম্যানসন, ঝাঁ চকচকে দামি গাড়ির সারি- কী ছিল না রাজ কুন্দ্রার। বলাই বাহুল্য এসবের মাধ্যমে যে মোটা টাকার আমদানি হতো শিল্পা শেট্টির স্বামীর, সেকথা নতুন করে বলার নয়। তবে সম্প্রতি, পর্ন ফিল্ম তৈরি এবং অ্যাপের মাধ্যমে তা ব্যবসা করার গুরুতর অভিযোগে আরও ১১ জনের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ। এ প্🐷রসঙ্গে মুম্বইয়ের যুগ্ম নগরপাল মিলিন্দ ভারাম্বে বলিউডলাইফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে♛ জানিয়েছেন, এই পর্ন ভিডিয়ো ব্যবসা থেকে প্রতিদিন ৬-৮ লক্ষ টাকা উপার্জন করত রাজ কুন্দ্রা! হাজার হাজার কোটিতে যে এই ব্যবসার লেনদেন হয়েছে সেসবের উপযুক্ত প্রমান মুম্বই পুলিশের হাতে রয়েছে।'
এই 'বিজনেস টাইকুন' একবার ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছেলেবেলার গপ্পো শুনিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন তাঁর বড় হয়ে ওঠার সময় পরিবারের অবস্থা মোটেই সুবিধের ছিল না। নিদারুন অর্থাভাবে দিন কাটত তাঁদের। রাজের 🧸বাবা লন্ডনের একজন বাস কন্ডাক্টর ছিলেন এবং মা কাজ করতেন এক কারখানায়। সংসারের চারপাশে স্রেফ অর্থাভাব দেখার ফলে একসময় ঘৃণা করতে শুরু করলাম দারিদ্র্যতাকে। এতটাই বেড়ে গেল সেই ঘৃণার পরিমাণ যে বিরাট বড়লোক হওয়ার আকাঙ্খা আম💖াকে চেপে ধরল। দারিদ্র্যের প্রতি ঘৃণার জন্যই আজ আমার এত রমরমা অবস্থা।'
এখানেই না থেমে শিল্পার স্বামী আরও জানিয়েছিলেন যে ১৮ বছর বয়সেই কলেজের পাট চুকিয়ে অর্থ উপার্জনে মন দিয়েছিলেন তিনি। আজ সাফল্যের যে জায়গায় তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন তা পুরোপুরি নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতায়। 'একেকসময় আমার স্ত্রী বলেন যে কেন অকারণে এত টাকা খরচ করি আমি। আমার সাধারণত জবাব থাকে, নিজের উপার্জিত করা অর্থই তো খরচ করছি। সুতরাং তাতে আমার💮 কোনও আফসোস নেই। যতক্ষণ ইচ্ছে হবে খরচ করব! আসলে ছোটবেলায় এতটাই অর্থাভাব দেখেছি যে সেই রাগের চোটেই নিজের জীবনে অর্থনৈতিকভাবে এই পরিবর্তন আনতে সফল হয়েছি আমি!', জোর গলায় জানিয়েছিলেন রাজ কুন্দ্রা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক মহিলা মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ জানায়,পর্ন ফিল্ম শ্যুট করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। এরপরই কোমর বেঁধে এই পর্ন ব়্যাকেটের পর্দা ফাঁস করতে আসরে নামে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ🎐। রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারির পর থেকেই কার্যত গায়েব শিল্পা শেট্টি। এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি আর তিনি। সূত্রের খবর, আপাতত সন্তানদের নিয়ে বোন শমিতা শেট্টির সঙ্গে থাকছেন শিল্পা।