ওম রাউতের ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে সমালোচনার ঝড় সবমহলে। ছবির বিষয়বস্তু থেকে সংলাপ সব নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রোষের মুখে পড়ে হনুমানজির ম🅰ুখের ‘টপোরি সংলাপ’ পর্যন্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন নির্মাতারা। উঠেছে ‘রামায়ণ’ বিকৃতির অভিযোগ। দু-সপ্তাহ পার করবার আগেই বক্স অফিসে খাবি খাচ্ছে এই ছবি। বিতর্ক নিয়ে সাফাই দিয়েছেন ছবির কাহিনিকার মনোজ মুনতাসির, তবে চুপ প্রভাস-কৃতিরা। এর মাঝেই ‘আদিপুরুষ’ বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন এই ছবির ‘কুম্ভকর্ণ’।
এতদিন ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ বলেই সকলে জানত, তবে আদিপুরুষ টিমের জন্য ‘ঘরের শত্রু কুম্ভকর্ণ’। ওম রাউতের ‘কুম্ভকর্ণ’, অভিনেতা লাভি পাজনি (Lavi Pajni) জানান এই ছবির সংলাপ শুনে ‘ব্যথিত’ তিনি। ‘আদিপুরুষ’-এর বিতর্কিত ডায়লগ নিয়ে প্রকাশ্য়ে মুখ খুলেছেন একাধিক অভিনেতাಌ। মুকেশ খান্নাতো নির্মাতাদের প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার মতো বিস্ফোরক বিবৃতিও দিয়েছেন। রামভক্ত হনুমানকে ছবিতে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘জ্বলগে তেরি বাপ কি’, ‘বুয়া কা বাগিচা’, ‘মরেগা বেটা’র মতো সংলাপ।
এই ছবিতে ‘রাবণ’ সইফের বড়দাদা কুম্ভকর্ণর চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাভি পাজনি। তিনি আজতকে বলেন, ‘ছবির সংলাপ নিয়ে বাকি সকলের মতো হিন্দু হিসাবে আমিও ক্ষুব্ধ।’ ছবির অংশ হয়েও এর বিরুদ্ধে কথা বলা প্রসঙ্গে অভিনেতা জানান, 'পরিচালক আপনাকে যা নির্দেশ দেবে অভিনেতা হিসাবে সেটা আপনি করবেন, আপন💦ি চুক্তিবদ্ধ। ছবি ভাগে ভাগে শ্য়ুট করা হয়। তখন অভিনেতারা জানতে পারেন না স্ক্রিনে কী দেখা♑নো হবে, এর স্ক্রিনপ্লে কেমন হবে। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
চাপে পড়ে ছবির সংলাপ বদল করলেও সমস্য়ার শেষ নেই মনোজ মুনতাসিরের। মঙ্গলবার এলহাবাদ হাইকোর্টে ছবির স্ক্রিনিং বন্ধের দাবিতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যা গ্রহণ করে আদালত ছ꧒বির কাহিনিকা𝕴র এবং সংলাপ রচয়িতা মনোজ মুনতাসিরের থেকে জবাবদিহি চেয়েছে।
হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছেও জানতে চেয়েছে সিনেমাটোগ্রাফ আইন, ১৯৫২-এর আওতায় এই নিয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ꧂ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC)কেও ব্যক্তিগত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পাশাপাশি, এদিন শুনানির সময় বিচারপতি রাজেশ সিং চৌহান ও শ্রী প্রকাশ সিং-এর বেঞ্চ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ধর্মীয় গ্রন্থের উপর সিনেমা না বানানোর পরামর্শ দেয়।
কুরুচিপূর্ণ ও নিম্নমানের সংলাপ থেকে চরিত্রায়নে খামতি, সবকিছু নিয়েই 'আদিপুরুষ' নির্মাতাদের তুলোধনা করে এলাহবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজেশ সিং চৌহান ও শ্রী প্রকাশ সিং-এর বেঞ্চ নির্মাতাদের বলে, ‘আপন﷽াদের কোরান, বাইবেলের উপরও সিনেমা বানানো উচিত নয়। আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি, কোনও ধর্মকেই স্পর্শ করা উচিত নয়। কোনও ধর্মকেই ভুলভাবে তুলে ধরবেন না। আদালতের কোনও ধর্ম নেই।’