ইন্ডিয়ান আইডল ১৪-র গ্র্যান্ড ফিনালে-তে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বাংলার শুভদীপ দাসকে হারিয়ে বিজয়ীর শিরোপা পেয়েছেন উত্🔯তরপ্রদেশের বৈভব গুপ্ত। সেই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই! নেটপাড়ার একটা বড় অংশের কাছে এই সিজনের ট্রফি জয়ের যোগ্য দাবিদারকলকাতার শুভদীপ। বাঙলির আফসোসের শেষ নেই। তবে কানপুর গুপ্ত পরিবারে খুশির ঝিলিক। ইন্ডিয়ান আইডলের সোনালি ট্রফির পাশাপাশি ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি এসইউভি গাড়িও জিতেছেন বৈভব।
ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি হাতে আসতেই নিজের আগামির স্বপ্নের কথা জানালেন বৈভব। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বৈভব জানান ভবিষ্যতে বলিউডে প্লে-ব্যাক করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য়। সলমন খান, রণবীর সিং, ভিকি ক🅘ৌশলদের জন্য গাই গাইতে চান তিনি। বললেন, ‘আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব, নিশ্চিতভাবেই একদিন না একদিন আমার কাছে সুযোগ আসবে বলেই মনে হয়’। তবে প্লে-ব্যাকের দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই পা রেখে দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান আইডলের ‘ছোটে সাহাব’। ফাইটার ছবির ‘বন্দে মাতারম’ গানটি গেয়েছেন বৈভব। যার সুরকার এই শো-এর বিচারক বিশাল দাদলানি এবং শেখর রবজিয়ানি।
বৈভব জানান, ‘এই জয় আমাকে নিজের লক্ষ্য নিয়ে আরও বেশি ফোকাসড করে তুলল। এখন আমার কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব। ফ্যানেদের জন্য আরও ভালো কিছু উপহার দিতে চাই।’ পুরস্কারমূল্যের টাকায় কী করবেন বৈভব? সেই⛄ পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন। গায়ক জানিয়🅰েছেন ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজস্ব মিউজিক স্টুডিও বানাতে চান তিনি। এবং বেশকিছু মিউজিক ভিডিয়োও তৈরি করতে চান।
ইন্ডিয়ান আইডলের দীর্ঘ পাঁচ মাসের সফরে বৈভবের জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত কোনটি? বি🙈জয়ী জানালেন, ‘যে পরিমাণ ভালো𒁏বাসা এবং প্রশংসা আমি বেশি, তাতে আমি আশাবাদী ছিলাম যে আমিই জিতব। বিশেষত যখন মহেশ ভাট সাহাব আমার জন্য সিটি বাজিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তটা আমার জন্য খুব বিশেষ। সবসময় সেটা মাথায় ঘুরত।’
চলতিবার ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসনে ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, কুমার শানু এবং বিশাল দাদলান𝓰ি। ফিনালের মঞ্চে বিশেষ অতিথি বিচারক হিসাবে পৌঁছেছিলেন সোনু নিগম। বিজিত শুভদীপ এবং সেকেন্ড রানার আপ পীযূষ পানওয়ার দুজনেই ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারমূল্য পেয়েছেন। অন্যদিকে চার নম্বরে বাংলার মেয়ে অনন্যা পাল পেয়েছেন ৩ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান আইডলের ১৩-🦂র ফাইনালেও তীরে এসে তরী ডুবেছিল বাংলার। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তিন বাঙালি কন্যের। মেগা ফাইনালে পৌ♎ঁছেও অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয় দেবস্মিতা রায়, সোনাক্ষী কর ও বিদীপ্তা চক্রবর্তীর। এবারেও সেরা পাঁচে জায়গা পেলেও দু-নম্বর আর চার নম্বর স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল শুভদীপ এবং অনন্যাকে।