বাঙালির প্রিয় গোয়েন্দা কে, এই প্র🐓শ্নের জবাবের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কারণ ব্যোমকেশ বক্সী থেকে শুরু করে জয়ন্ত-মানিক কিংবা সত্যসন্ধানী অর্জুন সবাইকেই মোটামুটি কয়েক মাইল পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে 'ফেলুদা' ওরফে ডিটেকটিভ প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। এই তথ্য আজকের 📖নয়, গত কয়েক দশকের পুরোনো। কী সাহিত্যে হোক কিংবা পর্দায় 'ফেলুদা' মানেই বাঙালির নিখাদ ভালোবাসা,অধিকার এবং অহংকার। তাই পর্দায় 'প্রিয় গোয়েন্দা'-কে নিয়ে এতটুকুও কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি চোখে পড়লে রক্ষা নেই।
তবে বাঙালির মনে আদি ও অকৃতিম ফেলুদা বলতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মুখ ভেসে উঠলেও পরবর্তী সময়ে পর্দায় যতবার বিভিন্ন অভিনেতারা 'ফেলুদা'-র চরিত্রে হাজির হয়ে🐠ছেন তাঁদের সানন্দে গ্রহণ করেছেন দর্শক। অবশ্য তুল্যমূল্য বিচার করতেও ছাড়েনি বাঙালি। শেষবার পর্দায় 'ফেলুদা' হিসেবে হাজির হয়েছিলেন টোটা রায়চৌধুরী। সৃজꦫিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'ফেলুদা' ওয়েব সিরিজের প্রথম সিজনে ইতিমধ্যেই বাঙালি দর্শকের মন জয় করে ফেলেছেন টোটা।
তবে এবার বড়পর্দায় ফেলুদা-কে হাজির করতে চলেছেন সন্দীপ রায়। চলতি বছর জুড়ে সাড়ম্বরে না হলেও পালিত হয়েছে কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই পুত্র সন্দীপের এই প্রচেষ্টা। গত বছরেই শোনা গেছিল সন্দীপ রায়ের হাত ধরে ফের আসছে 'ফেলুদা'. জানা গেছিল ছবি প্রযোজনা সংস্থা এসভি এফের পক্ষ থেকে সত্যজিৎ শতবর্ষে এক মলাটে ফেলুদা ও শঙ্কু⛦কে নিয়ে ছবি করতে চায়। অর্থাৎ🅰 একটি ছবিতেই থাকবে প্রোফেসর শঙ্কু ও গোয়েন্দা ফেলুদার ছবি। সেই অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছিল ছবির প্রথম পোস্টার। তা কে হচ্ছেন 'নতুন' প্রদোষ চন্দ্র মিত্র?
জোর গুঞ্জন,নতুন ফেলুদা নাকি হতে চলেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। সঙ্গে ফিসফাস গত বছরই নাকি স্ক্রিন টেস্ট নেওয়া হয়ে গেছিল এই অভিনেতা। এবং তা দেখে নাকি আপাতভাবে বেশ সন্তুষ্টই হয়েছেন পরিচালক। তাছাড়া 'ফেলুদা'-র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেশ কিছু মিলও রয়েছে ইন্দ্রনীলের। লম্বায় ছ'ফুট, পেটানো চেহারা, ধারালো চোখমুখꦚের সঙ্গে জলদগম্ভীর স্বর। এছাড়া ইন্দ্রনীলের অভিনয় দক্ষতা নিয়েও দর্শকের মনে নেই কোনও প্রশ্ন। তবে এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কবে করা হবে 'নতুন ফেলুদা'-র নাম ঘোষণা, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে দর্শক।