ছোট আর বড় পরদায় চুটিয়ে কাজ করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার। শুধু তাই নয়, বম্বেতেও নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন অভিনেত্রী।𓃲 টিভিতে ‘তেরো পার্বন’ দিয়ে ১৯৮৬ সালে হাতেখড়ি হয় অভিনয়ের। এরপর একের পর এক প্রোজেক্টে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সম্প্রতি কেরিয়ারের স্ট্রগাল নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে কীভাবে মুম্বইয়ের এক প্রযোজক তাঁর ‘সুবিধে নেওয়া’র চেষ্টা করেছিলেন, সেটাও জানান।
ইন্দ্রাণী জানান, ‘আমার কেরিয়ারের প্রথম দিকের ছবি। বয়স তখন সবে ২০। বম্বেতে (বর্তমান মুম্বই) সেই ছবির শ্যুট হয়েছিল। প্রযোজকও বম্বের। প্রথম লটের শ্যুটে মা আমার সঙ্গে গিয়েছিল। আর দ্বিতীয় লটে ডাবিং ছিল আর কিছুটা শ্যুট। বাবার সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে সকালের ফ্লাইটের টিকিট দেওয়া হয় আর বাবাকে রাতের। প্রথমবার আমাকে পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছিল। পরেরবার লিঙ্ক রোডের হোটেল দেওয়া হল। হোটেলে পৌঁছতে না পৌঁছতেই ফোন এল আমার কাছে, বলা হল প্রযোজক আসবে। আমি তো শুনেই ভয় পেয়ে গিয়েছি। ভাবছি আমার সঙ্গে হঠাৎ কী দরকার হঠাৎ!’ আরও পড়ুন: ঠাম্মি ꦬপরল টপ൩-প্যান্ট, মিঠাই ছোট ড্রেস, টেস শর্টস— ভোলবদল মোদকবাড়ির মেয়েদের
প্রযোজক আসবে শুনেই ভয়ে ছবির পরিচালককে ফোন করেন ইন্দ্রাণী। তবে পরিচালকও তাঁকে সাহস দিয়ে বলেন, এতে এত ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। আর এসবের মাঝেই বাজে ঘরের বেল। এসে পৌঁছয় প্রযোজক। ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘রীতিমতো উনি আমার হাত ধরে টানাটানি শুরু করল। এবং আমাকে জোর করতে লাগল, যেটা আপনারা অনুমান করছেন সেটাই। ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছি আমি তখন। আমি ওনাকে বলছি আপনি কী করছেন এটা? কেন করছেন? আর উনি বলছেন, আরে ইয়ার তুমি বাঙালি মেয়ে, আমি তোমাকে হিন্দি সিনেমায় সুযোগ করে দেব। বড় বড় অভিনেত্রীরা আমার পায়ের তলায় থাকে। আমি বলতে লাগলাম, দেখুন আমার প্রতিভা দেখে আমাকে বাছা হয়েছে। আমি এরকম আপোস করব না। তাও সে আমায় জোর করতে থাকে। আমি বুঝতে পারছি না কী করা উচিত আমার, চিৎকার করব কি করব না! আমার হাত পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। এই আপনাদের যখন বলছি এখনও আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আমি শুধু ঠাকুরকে ডাকছি আমাকে বাঁচাও। আমি কি আজকে রেপড (ধর্ষিতা) হব তাহলে!’ আরও পড়ুন: সমুদ্রের মাঝে বোটে নুসরতকে কাছে টেনে আদর যশের🙈! ভিডিয়ো দেখে🦩ই ফুট কাটলেন তনুশ্রী
ইন্দ্রাণী এরপর জানান, সেই প্রযোজকের হাত থেকে ছাড়া পান অনেক বুদ্ধি করে। 💫সেই লোকের ফোনে তাঁর বউয়ের ফোন আসে। পাশ থেকে ইন্দ্রাণী সেটা বুঝতে পারেই জোরে জোরে কাশতে শুরু করেন। আর ওর বউ সেটা টের পেয়ে যায়। লোকটা যাওয়ার সময় ইন্দ্রাণীকে বলে গিয়েছিল, ‘তোমার কিচ্ছু হবে না’।
শ্রীময়ী অভিনেত্রী এরপর জানান, ‘ওই লোকটা চলে যাওয়ার পর অনেকক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম। মনে হচ্ছিল, আদৌ ঠিক করলাম তো। তারপর কিছুক্ষণ পর অনেক ধন্যবাদ জানালাম ওই লোকটাতে। ওর নাম আমি আর নিতে চাই না, মারা গেছেন। তবে আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। এরপর অনেকবার আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে, নামী পরিচালক উনি। কিন্তু তারপর থেকে একবারও আমার দিকে চোখ তুলে তাকা꧅নোর সাহস পায়নি।’