দেখতে দেখতে পাঁচ মাস অতিক্রান্ত। নিজের প্রিয় মানুষগুলো ছেড়ে চলে গিয়েছেন ইরফান খান। সম্প্রতি প্রয়াত অভিনে𝓀তার বন্ধু চন্দন রায় সান্যাল মুম্বইয়ের ভারসোভা কবরস্থানে পৌঁছেছিলেন, বন্ধুত্বের টানে । তুলে ধরেছিলেন ইরফান খানের কবরের ছবিও। যেখানে দেখা গিয়েছিল চারিদিকে অযত্নে বেড়ে ওঠা আগাছা জড়িয়ে ধরেছে কালো মার্বেল ফলক সমন্বিত ওই কবরকে। যাঁর নীচেꦗ চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন প্রবাদপ্রতিম বলি অভিনেতা ইরফান খান। তারকার সমাধির এই ‘দুর্দশা’ দেখে চমকে ওঠেন অনুরাগীরা ।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই অভিনেতার এক ভক্ত তাঁর স্ত্রী সুতপা শিকদারকে এই অবস্থার সত্যতা জানতে চেয়ে ফেসবুকে যোগায🦄োগ করেন । মাত্র পাঁচ মাসে অভিনেতার সমাধিস্থলের এই অবস্থা দেখে রীতিমতো মানসিক আঘাত পেয়েছেন বলে জানান ওই অনুরাগী, এই কবরে আবর্জনা স্তূপের সঙ্গে তুলনা করেন । শেয়ার হওয়া ফটোটি সত্যিই ইরফানের কবরের কিনা জানতে চেয়ে আক্ষেপের সুরে তিনি লেখেন , আজ যেখানে রাত কি রানীর( এই ফুলটি আজীবন খুব পছন্দ করতেন ইমরান ) ঝোপ থাকার কথা ছিল , সেই স্থলে আগাছার জঙ্গল তৈরী হয়েছে । যদি ছবিটি সত্যি না হয় তাহলে সুতপার কাছে অভিনেতার কবরের কোনও সাম্প্রতিক ছবি থাকলে তা পোস্ট করতে অনুরোধও করেন তিনি ।
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ইমরান পত্নী জানান - তিনি দুঃখিত কারণ ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার দরুণ তিনি একজন মহিলা হয়ে কবরস্থানে যেতে পারবেন না । তবে জানান এর পরিবর্তে ইগতপুরীতে প্রয়াত অভিনেতার স্মৃতিতে তিনি একটি মাজার তৈরি করে দিয়েছেন এবং সেখানেই তিনি লাগিয়েছেন ইরফানের প্রিয় রাত কি রানী । এই স্মৃতি প্রস্তরেই অভিনেতার প্রিয় ব্যবহার্য জিনিসগুলোকে কবর দিয়েছেন বলে জানান সুতপা । লেখেন , মূল কবরে যেতে না পারলেও এই জায়গাতে তাঁর অবাধ গতি বিধি , ঘন্টার পর ঘন্টা তিনি এখানে বসে থাকলেও কেﷺউ এসে উঠে যেতে বলেন না ।
এর পরেই কবরের আগাছা সম্পর্কে সুতপা প্রশ্ন করেন ' সমস্ত কিছু একদম সংজ্ঞায়িত যথাযথ যান্ত্রিক হতে হবে , এমনটি কোথাও লেখা আছে কি ? ওই গাছগুলো তো প্রকৃতিরই দান । বৃষ্টির জলে নিজেরাই তারা বেড়ে ওঠে । কেউ হয়তো মাঝে পরিষ্কার করে দেন , কিন্তু আবার তারা ফিরে আসে । এটাও তো হতে পারে ওই সবুজ আসলে এক🎀সাথে বেঁচে থাকার বার্তা বহন করছে , এইভাবে কি আমরা ভাবতে পারিনা ? '
নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার নিয়ে 🌼দুই বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে গত ২৯ এপ্রিল প্রয়াত হন ইরফান খান । স্ত্রী সুতপা এবং তাঁদের দুই♎ ছেলে বাবিল ও আয়ানকে রেখে গেছেন তিনি ।
নিজের পোস্টে অভিনেতা চন্দন স্যানাল লিখেছিলেন ,চার মাস ধরে ইরফানের কবরের কাছে না যাওয়ার দরুণ একটা যন্ত্রনা কুরে কুরে খাচ্ছিলো তাঁকে । সেই উদ্দেশ্যেই তিনি বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান , এবং আগাছায় আবৃত নির্জন গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত অভিনেতার সমাধি দেখতে পান। যোগ করেন- চারিদিকে এক অদ্ভূত নিস্তব্ধতার মাঝেই ইরফানকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে রেখে এলাম একগ🧜ুচ্ছ রজনীগন্ধ♍া'। আজ তিনি না থাকলেও প্রকৃতি যেন তাঁকে ঘিরে রেখেছে আপন স্নেহের আলিঙ্গনে, জানান চন্দন স্যান্যাল।