𒁃 বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে দাবি করেছেন যে, অভিনেত্রী উপহারের অবৈধ উৎস সম্পর্কে অবগত ছিলেন না, যা কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলার অংশ বলে অভিযোগ রয়েছে।
🔥বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের পক্ষে যুক্তিতর্কের কিছু অংশ শোনা হয়। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি। বলা হয়েছে যে, তিনি অর্থ পাচারের অপরাধে জড়িত ছিলেন না। তিনি জানতেন না যে তিনি যে উপহারগুলি পেয়েছিলেন তা কথিত অপরাধের আয়ের অংশ।
আরও পড়ুন: 🐭‘এর বর কে, সারাক্ষণ তো থাকে…’! রয়েছে এক মেয়ে, বেবিবাম্পে ছবি দিয়ে কটাক্ষে মানসী
🍃শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অনীশ দয়াল প্রশ্ন তোলেন, ‘উপহারের উৎস জানা কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কর্তব্য কি না?’ বিষয়টি নিয়ে আরও যুক্তিতর্কের জন্য ২৬ নভেম্বর ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ౠপ্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল, প্রশান্ত পাতিল এবং শক্তি পাণ্ডে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের হয়ে সওয়াল হন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তিনি জানতেন না যে তিনি যে উপহারগুলি পেয়েছেন তা অপরাধের আয়ের অংশ। তিনি জানতেন না যে সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে তিনি যে উপহারগুলি পেয়েছিলেন তা অদিতি সিংয়ের কাছ থেকে তোলাবাজির টাকায় কেনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 🧸সারেগামাপা-য় আরাত্রিকার ভুল ধরে কটাক্ষে শান্তনু মৈত্র! শুনত হল, ‘নিজেকে সোনু নিগম ভাবছে’
꧂ইডির অভিযোগ, সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করেননি জ্যাকলিন। সুকেশের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন দেখতে পান সুকেশকে নিয়ে। কিন্তু পত্রিকার প্রতিবেদন সত্য না মিথ্যে তা তিনি বোঝেননি।
আরও পড়ুন: ꦅ‘মা-ছেলে লাগছে…’! নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে মাখোমাখো ছবি দিতেই কটাক্ষ করা হল আমিশাকে, বয়সে কত বড় তিনি
♈সহ-অভিযুক্ত পিঙ্কি ইরানি তাঁকে বোঝান যে, সুকেশের উচ্চ রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ফিক্সার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস থেকে ফোন আসে তাঁর। রাজনৈতিক সম্পর্কের জন্য তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে, বলে বলা হয়েছিল জ্যাকলিনকে সেইসময়, জানিয়েছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী।
ꦐএদিন আদালতে আরও বলা হয়, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখার পর জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে তিনি জানতেন না যে, উপহারগুলি অপরাধের উপার্জনের অংশ ছিল। তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।