তখন অমিতাভ-জয়ার প্রেমপর্ব তুঙ্গে! অথচ বিগ বি-র সঙ্গে জঞ্জির ⛎ছবিতে কাজ করতেই রাজি হননি জয়া বচ্চন। কেন জানেন? নতুন ডকুসিরিজ অ্যাংরি ইয়ং মেন-এ কাল্ট ক্লাসিক জঞ্জিরের নেপথ্য কাহিনি ফাঁস করেন অমিতাভ ঘরণী। হিন্দি সিনেমায় 'অ্যাংরি ইয়ং ম্যান' যুগের সূচনা হয়েছিল এই ছবির হাত ধরে। ছবিতে মালা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জয়া ভাদুড়ি, যা মূলত অমিতাভ বচ্চনের ইন্সপেক্টর বিজয় খান্নার চরিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল। জয়া বলেছিলেন যে তিনি প্রথমে ছবিটি করতে চাননি এবং শেষপর্যন্ত কেন হ্যাঁ বলেন তিনি?
ডকুসিরিজে জয়া বলেন, 'আমি জঞ্জিরে অভিনয় করতে চাইনি। আমি কখনোই পুরুষকেন্দ্রিক সিনেমার অংশ হতে চাইনি। এটি ছিল পুরুষকেন্দ্রিক ছবি। সেলিম সাহেব ও জাভেদ সাহেবরা খুব সোজাসাপ্টা ছিলেন। তারা আরও অনেক মহিলা অভিনেতাদের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু অবশ্যই, তারা সবাই প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা বলল, 'তুমি না বলতে পারো না, তোমাকে আমাদের দরকার'। অবশ্য আরেকটা প্রলোভন ছিল আমার সহশিল্পী। তাই আমি ভেবেছিলাম অন্তত আমরা একসঙ্গে কিছু সময় কাটাতে পাജরব।' হ্যাঁ, প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটানোর লোভেই জঞ্জিরের অংশ হন জয়া।
১৯৭৩ সালের জুন মাসে মুক্তি পায় এই ছবি। জঞ্জির-এর হাত ধরে সূচনা হল নতুন যুগের। সেলিম বলেন, 'জঞ্জির'-এর পর হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন নায়ক ঝড় তুলেছেন। এ এক নতুন নায়ক। যে নায়ক💮 গান গায় না, সে রোমান্স করে না, কমেডিতে ভেঙে পড়ে না, ভুলভাল বকে না। অন্য চরিত্রগুলো সেটাই করছিল। কিন্তু নায়ক নয়'। জাভেদ বলেছিলেন যে যেহেতু চরিত্রটি সততার সাথে দেখানো হয়েছিল এবং বাজারের চাহিদা অনুসারে নয়, লোকেরা এখনও চলচ্চিত্র এবং চরিত্রটি মনে রেখেছে।
জঞ্জিরের সাফল্যের জেরেই সাত পাক ঘুরেছিলেন অমিতাভ-জ🍎য়া। তাও বাধ্য হয়ে। সেই গল্পটা জানেন কী? অমিতাভ বচ্চনের পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে বলেন,' জঞ্জির সফল হলে প্রথমবার বন্ধুরা মিলে লন্ডন ঘুরতে যাব ঠিক করেছিলাম। বাবুজি প্রশ্ন করেছিল কারা যাচ্ছো? জবাব শোনার পর নﷺির্দেশ এল-আগে ওকে (জয়া) বিয়ে কর তারপর ঘুরতে যাও, আমিও বাধ্য ছেলের মতো বাবুজির কথা মেনে নিলাম।'
সেই কারণে মাত্র এক রাতেই সাতে পাকে বাঁধা পড়েন অমিতাভ-জয়া। কয়েক ঘন্টার আয়োজনে বিয়ে সেরে চট জলদি রাতের ফ্লাইটেই লন্ডন রওনা দেন। হ্যাঁ, লন্ডন ট্রিপের লোভেই বিয়েটা করেছিলেন এই প্রেমিক যুগল। তাদের দুই সন্তান - কন্যা শ্বেতা বচ্চন (১৯৭৪) এবং পুত্র-অভিনেতা অভিষেক বচ্চন (১৯৭৬)। জয়াকে শেষ দেখা গিয়েছিল ক🌳রণ জোহরের 'রকি অউর রানি 🙈কি প্রেম কাহানি' ছবিতে।
পরবর্তীতে অভিꦚমান (১৯৭৩), চুপকে চুপকে, মিলি, শোলে (১৯৭৫), সিꦡলসিলা (১৯৮১) এবং কাভি খুশি কাভি গম (২০০১) চলচ্চিত্রে দেখা মিলেছে এই স্বামী-স্ত্রী জুটির। অমিতাভকে শেষ দেখা গিয়েছিল নাগ অশ্বিনের কল্কি ২৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে। বর্তমানে তিনি কৌন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন।