শুক্রবার জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করল বিশেষ সিবি🎶আই আদালত। আদালতে বড় জয় সূরজ পাঞ্চোলির। প্রেমিকা জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন অভিনেতা। সূরজকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল সিবিআই আদালত। এদিন বিচারক এএস সৈয়দ রায় ঘোষণার সময় জানান, ‘তোমার (সূরজ) বিরুদ্ধে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তা উপযুক্ত নয়, তাই তোমাকে রেহাই দেওয়া হল সমস্ত অভিযোগ থেকে’।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান (Jiah Khan)। ২০১৩ সালের ৩রা জুন জিয়ার মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। অভিনেত্রীর ফ্ল্য়াট থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলি🍬র বিরুদ্ধে। তখনও বলিউডে পা দেননি আদিত্য় পাঞ্চোলি-জারিনা ওয়াহাব পুত্র।
জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারও হন সূরজ, পরে জামিনে মুক্তꦇি পান সলমন খানের ‘হিরো’। শুরু থেকেই জিয়ার মা রাবিয়া খানের অভিযোগ ছিল খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে, পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাবিয়া। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে জিয়ার মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ২০১৪ সালের ৩রা জুলাই মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সরে সিবিআইয়ের জিম্ﷺমায় যায় এই মামলা। বছর দুয়েক পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সিবিআই জানায় আত্মহত্যাই করেছেন বলি-নায়িকা। ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সেই তত্ত্ব মানতে না-রাজ জিয়ার মা রাবিয়া খান।
২০১৯ সালে সেশন কোর্টে এই মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়েছিল বটে কিন্তু তা খুব বেশি দূর এগোয়নি। দীর্ঘ আট বছর ঝুলে থাকার পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিয়ার আত্মহত্যার মামলা সেশন কোর্ট থেকে সরে যায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। আজ সেই মামলারই🥃 রায় জ🅰ানাল আদালত।
জিয়া আত্মহত্যার পর প্রয়াত অভিনেত্রী সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেটাই ছিল এই মামলার মূল ভিতꦇ্তি। ওই চিঠিতে সূরজের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন জিয়া। এই মামলায় প্রায় ২২জন সাক্ষী আদালতে সূরজের বিরুদ্ধে বয়ানꦿ দেন। তবে শুরু থেকেই সূরজের দাবি ছিল তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিনেতার কথায়, ‘আমি জিয়াকে ভালোবেসেছি, ও আমার কাছে ভগবানের দেওয়া সেরা উপহার’। নিজের লিখিত বয়ানে জিয়ার মা রাবিয়ার দিকে অভিযোগের পালটা আঙুল তুলেছেন সূরজ। তাঁর কথায়, ‘রাবিয়া জানে উনি নিজে দোষী মেয়ের মৃত্যুর জন্য। আমার মনে হয় ওঁনার ভূমিকা খুঁজে দেখা উচিত এই মামলায়’।
২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চন সঙ্গে নিঃশব্দ ছবির সঙ্গে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন জিয়া খান।নিঃশব্দের পর আমির খানের গজনী এবং হাউজফুল (২০১০) ছবিতে অভিনয় করেন জিয়া। এরপর আচমকাই শোবিজের দুনিয়া থেকে গায়েব হয়ে যান অভিনেত্রী। কেরিয়ারে মাত্র তিনটি ছবিতেই অভিন꧋য় করেছেন জিয়া। এতদিন তাঁর মৃত্যু ঘিরে উঠেছে হাজারো প্রশ্ন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে জিয়া খান মৃত্যু মামলা। এদিন আদালতের রায়ে উযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেলেন সূরজ পাঞ্চোলি।