সহবাস সঙ্গী জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভি༺নেতা সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালের ৩রা জুন জুহুর ফ্ল্যাট থেকে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন রাবিয়া খান। অভিযোগের আঙুল উঠে জিয়ার প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলির দিকে। সুইসাইড নোটে সূরজের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন জিয়া। শতচেষ্টা সত্ত্বেও, সবটা উজার করে দিয়েও সূরজের প্রকৃত ভালোবাসা পাননি, এই আক্ষেপই ছিল তাঁর ৬ পাতার সুইসাইড𝔉 নোটের প্রতিটি পাতায়। সূরজের একাধিক নারীসঙ্গ, পার্টির নেশা অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল জিয়াকে। ওই চিঠিতে বাধ্য হয়ে গর্ভপাত করার উল্লেখ করেন প্রয়াত অভিনেত্রী।
১০ বছরের টালবাহানার পর শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বেকসুর খালাস ঘোষণা করল সূরজ পাঞ্চোলিকে। এদিন বিচারক এএস সৈয়দ রায় ঘোষণার সময় জানান, ‘তোমার💮 (সূরজ) বিরুদ্ধে যꦆা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তা উপযুক্ত নয়, তাই তোমাকে রেহাই দেওয়া হল সমস্ত অভিযোগ থেকে’।
মিডিয়ার ক্যামেরা এড়িয়ে মায়ের হাত ধরে আদালত থেকে বেরিয়ে যান সূরজ। একটা শব্দও খরচ করেননি। পরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন অভিনেতা। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘১০ বছরের যন্꧅ত্রণা, নিদ্রাহীন রাতের পর এই রায় এল। আজ শুধু এই মামলায় আমার জয় হয়নি, আমি নিজের সম্মান এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। এই ধরণের ভয়ঙ্কর অভিযোগের সঙ্গে দুনিয়ার মুখোমুখি দাঁড়াতে অনেক সাহস লেগেছে’।
সূরজ পাঞ্চোলি আরও বলেন, ‘আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব এত অল্প বয়সে আমাকে যে যন্ত্রণা সইতে হয়েছে, তার মধ্যে দ💖িয়ে যেন কেউ না যায়। আমি জানি না কে আমাকে আমার জীবনের ওই ১০টা বছর ফিরিয়ে দেবে। তবে আমি খুশি যে অবশেষে এই নরক যন্ত্রণা শেষ হল, শুধু আমার জন্য নয় আমার পরিবারের জন্যও। শান্তির চেয়ে বড় আর কিছুই হয় না’।
এদিন খুশির হাওয়া পাঞ্চোলি পরিবারে। বাড়ি পৌঁছে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বললেও বাইরে এসে মিডিয়াকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সূরজ। পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করা হয় তাঁর তরফে। সেই🍷 ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়। কেউ লেখেন, ‘অত্যন্ত অসংবেদনশীল কাজ’। আবার কেউ লেখেন, ‘ছিঃ! অমানুষ কোথাকার, মিষ্টি বিলোচ্ছে’।
২০১৩ সালের সেই অভিশপ্ত রাতের স্মৃতি বুকে আগলে মেয়েকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার লড়াই জারি থাকবে জানিয়েছেন জিয়ার মা। হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন তিনি স্পষ্ট করেছেন রাবিয়া খান। তাঁর প্রশ্ন,'সূরজ নির্দোষ হলে আমার মেয়ে মরল কীভাবে?' জিয়ার মায়ের এই বয়ান নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সূরজের মা অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাব। তিনি বলেন, ‘উনি যদি লড়াই চালিয়ে যেতে চান, স্বেচ্ছায় লড়াই করুন।' তাঁর সংযোজন, ‘ভগবানকে ঘর দের হ্যায় অন্ধের নেহি’ (ভগবান সুবিচার পাইয়ে দিতে দেরি করতে পারেন, তবে তা মিলবেই)&ꦺgt;