জিয়া খানকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতেন সুরোজ পাঞ্চোলি। বুধবার আদালতে এমনই অভিযোগ এনেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা রাবিয়া খান। তাঁর🔥 দাবি, প্রেমিকের দুর্ব্যবহারের কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন মেয়ে স্বয়ং।
২০১৩ সালে জুহুর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় জিয়াকে। তাঁর মৃত্যুকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে ধরে নেওয়া হয়। তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুরজের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের হাতে আটক হয়েছিলে𒉰ন অভিনেতা। পরবর্তীতে জামিনে ছাড়া পান🐻 তিনি।
সূত্রের খবর, মেয়ের বলিউডে প্রবেশ থেকে সুরজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক— সব নিয়েই আদালতে নিজের বয়ান রেকর্ড করেন রাবিয়া। তাঁর দাবি, নেটমাধ্যমের সাহায্যে জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেন সুরজ। এর পরেই নাকি দেখা করার জন্য অভিনেত্রীকে চাপ দিতে থ💯াকেন তিনি। প্রথমে সাবধানী হয়ে দ্বিধা বোধ করলেও শেষমেশ সুরজের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন জিয়া।
পিটিআই সূত্রে খবর, জিয়া আর সুরজের ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে দেখা 🐼হয় বলে দাবি করেন রাবিয়া। তিনি বলেন, 'সেই সময় ও (জিয়া) আমাকে কিছু ছবি পাঠিয়েছিল। দেখে মনে হয়েছিল, দু'জনের সম্মতিতেই সেগু🌠লি তোলা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে যদিও জিয়া আমাকে বলেছিল, ওরা শুধুই ভালো বন্ধু।'
রাবিয়ার দাবি, মেয়ের প্রাত্যহিক রুটিন কেমন হবে, তা ঠিক করে দিতেন সুরজ। দেখা হওয়ার এক মাসের মাথায়꧂ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। লন্ডনে মেয়ে এবং তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলেন রাবিয়া। তখনও জিয়া ভালোই ছিলেন। সেই বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের সম্পর্কের নানা সমস্যার কথা ধীরে ধীরে রাবিয়ার সামনে আসতে থাকে।
এখানেই শেষ নয়। জিয়ার মা জানান, মেয়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর সব কিছু ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ চেয়েছিলেন সুরজ। এর পরেই একসঙ্গে সময় কাটাতে গোয়ায় গিয়েছিলেন তারকা-জুটি। জিয়া তাঁর মাকে ফোন কর𓄧ে জানিয়েছিলেন, সেখানে সুরজের সঙ্গে 'অদ্ভুত' একটি জায়গায় থাকছিলেন তিনি। অভিনেত্রী সেই জায়গাটি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন।
রাবিয়ার আরও দাবি, জিয়ার সাম﷽নেই অন্য মহিলাদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতেন সুরজ। বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে লজ্জায় ফেলতেন তাঁর মেয়েকে। শুধু তাই নয়। অভিযোগ, জিয়াকে নানা 'নোংরা নাম'-এ ডাকতেন তাঁর প্রেমিক।
বৃহস্পতি বারও নিজের বয়ান রেকর্ড করবেন রা🙈বিܫয়া। জিয়ার মৃত্যুর ন'বছর পর উঠে আসবে নতুন তথ্য? এখন সেটাই দেখার।