বাংলা সিরিয়ালে আজও দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন কল্যাণী মণ্ডল। অনেকেই হয়ত জানেন না কেরিয়ারের একদম গোড়ার দিকে কিশোরি কল্যাণীর সৌভাগ্য হয়েছে উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার। মহানায়কের বিশেষ স্নেহধন্যা ছিলেন কল্যাণী দেবী। উত্তম কুমারকে ‘জ্যেঠা’ বলে ডাকার স্বাধীনতা ইন্ডাস্ট্রিতে 🍸বোধহয় একমাত্র তিনিই পেয়েছিলেন।
সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন এই বর্ষীღয়ান অভিনেত্রী। সেখানেই পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করলেন কল্যাণী দেবী। উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘আলো আমার আলো’ ছবিতে সুচিত্রা সেনের বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কল্যাণী দেবী। পরিচালক পিনাকি ভূষণ মুখোপাধ্যায়, যাকে ইন্ডাস্ট্রি চেনে পানুদা নামেই।
শ্যুটিংয়ের প্রথম দিন প্রথম শটই কল্যাণীꦯ দেবীর ছবি সুচিত্রা সেনের সাথে। বড় বয়সে এটাই তাঁর প্রথম ছবি।🌟 খানিকটা ঘাবড়েই ছিলেন অভিনেত্রী। উত্তম ও সুচিত্রার কাছে আর্শীবাদ নিয়েই শুরু করেছিলেন কাজ। ডিরেক্টর শট বুঝিয়ে দিয়েছিল- উত্তম কুমার বস্তিতে মিটিং করে বেরিয়ে যাচ্ছে। দিদি (সুচিত্রা সেন) দাঁড়িয়ে আছে, তুমি দিদির কাঁধে হাত দিয়ে দেখবে গাড়িটা বেরিয়ে যাচ্ছে। কল্যাণী দেবী বলেন, ‘আমি ছুটলাম, দিদির কাঁধে হাতদিলাম। সঙ্গে সঙ্গে (সুচিত্রা) বললেন কাট! আমি সোজা পানুদার দিকে তাকিয়েছি, উনি বলছেন- ধরলি কেন? ধরবে না ধরবে না! (সুচিত্রা সেন) বললেন-ডোন্ট টাচ’।
এই ঘটনা স্বভাবতই বেশ খানিকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ঠিকই করেছিলেন, আর মহানায়িকাক🌸ে ছোঁবেন না। কিন্তু ভুল ভাঙে কিছুক্ষণের মধ্যেই। পরের দৃশ্যে দাদার চাকরি পাওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত বোনেরা (সুচিত্রা-কল্যাণী)। সেই দৃশ্য চলাকালীনও কাট বলেন মহানায়িকা! এবার মনে বল পেয়েছিলেন কল্যাণী। দিদির পাশে দাঁড়ালেও গায়ে হাত লাগাননি। ফিরে তাকিয়ে সুচিত্রা দেবী বলেছিলেন, ‘কী আমার গলাটা জড়িয়ে ধরো’। ফের চমকে গিয়েছিলেন কৈশ༒োরে পা দেওয়া কল্যাণী। ‘ম্যাডাম’ সুচিত্রার কথা মতোই তাঁকে জড়িয়ে ধরে শট দেন কল্যাণী মণ্ডল।
উত্তম কুমার ‘বাবা’ বলে ডাকতেন আদরের কল্যাণীকে। 'সন্ন্যাসী রাজা' ছবিতে কল্যাণী অভিনীত রতন চরিত্রটি আজও ভোলেনি দর্শক। তাঁর এই প্রাপ্তি ভোলার নয় মনে করান রচনা। বলেন, ‘জীবনে তোমার কী বড় প্রাপ্তি বল তো যাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছো। তুমি যতদিন থাকবে এই স্মৃতিগুলো থেকে যাবে’। অভিনয় নয়, নাচই ছিল কল্যাণীর পছন্দের জায়গা। রচনাকে বলেন, ‘আমি তো ক্ল্যাসিক্যাল ডান্সার। প্রচুর শো করেছি। আমার খুব একটা পছন্দের জ♋ায়গা ছিল না এটা (অভিনয়)। অভিনয় করতে এসে দেখছি এটার অফার, সেটার অফার, শেষে জীবন থেকে নাচটাই চলে গেল’।
অবসর সময়❀ে রান্না করতে💝 ভালোবাসেন, সেলাই-বুনাইয়ের কাজেও ইন্টারেস্ট রয়েছে তাঁর। রচনাকে বলেন, ‘আর ফাঁক পেলে দিদি নম্বর ১ দেখতে ভুলি না’।