যিশু ꩲসেগুপ্তের সঙ্গে কোনওভাবেই কোনওরকম বাজি লড়তে নারাজ কাঞ্চন মল্লিক। কাঞ্চনের মুখে এমন কথা শুনেই কেন, জিগ্গেস না করে থাকতে পারলেন না সঞ্চলক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। আর তাতে কাঞ্চন যা বললেন, তাতে কেউ-ই হাসি চাপতে পারেননি। আর এসব কথা একসময় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের শো 'অপুর সংসার'-এ এসে বলেছিলেন বর্তমানের অভিনেতা,🍬 বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। যেটি কিনা ২০১৭-তে সম্প্রচারিত হয়। সম্প্রতি ভাইরাল ভিডিয়োতে উঠে এসেছে শোয়ের অংশ।
সেখানে কাঞ্চন বলেন, যিশুর সঙ্গে তিনি টানা ৫ বছর শো করেছেন। একবার মেদিনীপুরে শো করে ফিরে সেখানকার হোটেলে উঠেছেন। রাতটা সেখানেই কাটাতে হবে তাঁদের। সেদিনের ঘটনাক্রম বর্ণনা করতে করতে কাঞ্চল বলেন, ‘ফাঁকা হোটেল, একটা ঘরে দরজা বন্ধ করে দুজনেই ক্লান্ত হয়ে বসে আছি। হঠাৎই উনি ছোটবেলার পোশাকে চলে গেলেন। বলল, বস খেলাধুলো করা ছেলে। আমি বললাম জানি। তখন বলল, এই যে কালীঘাটের ছেলে, ক্ষমতা থাকবে ৫০০ টাকার বাজি, দরজা খুলব, করিডরে যাব, চলে আসব। আমি বললাম করে দেখা। ওমনি দরজা খুলে বাইরে একবার দেখে নিয়ে করিডরে গিয়ে এই তো আমি বলেই চলে এল। তা♍রপর আমি রেগে নিয়ে বললাম, কালীঘাটের ছেলে বললি, ওমনি আমিও ওভাবে দরজা খুলে বাইরে যেতেই ও মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিল। আমি পাগলার মতো দর🐬জায় লাথি মারছি, আর ও ইন্টারকমে ফোন করে বলছে, আমি যিশু বলছি, দুটো জলের বোতল পাঠিয়ে দিন এখনই। মেদিনীপুরের জনার্দনবাবু এসে ওভাবে দেখে বলছে একী কাঞ্চন! আমি তখন না বলে চিৎকার করছি। তারপর ও দরজা খুলল। আমি আর ওর সঙ্গে বাজিতে যাব না।’
কাঞ্চনের মুখে এসব কথা শুনে শাশ্বত বলেই ফেললেন এত খুলে বোধহয় কেউ উত্তর দেয়নি। এরপরই 🌟পাশ থেকে সৌরভ দাস বললেন, চুমু খেতে ইচ্ছা করছে। যেমন বলা তেমনি কাজ।
সেদিন র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে শাশ্বত কাঞ্চনকে জিগ্গেস করেন, সৃজিত মুখার্জি না হরনাথ চক্রবর্তী। কাঞ্চন মল্লিক বলেন হরনাথ চক্রবর্তীকেই বেছে নেব, উনি থিয়েটা🎃র থেকে অনেককে তুলে এনে ছবিতে সুযোগ দিয়েছেন। উনিই আমাকে ডেকে নিয়ে একটা ছবিতে কাজ দিয়েছিলেন, পরে যদিও সেই দৃশ্যটি বাদ যায়। কিন্তু উনি আমায় আবারও সুযোগ দিয়েছিলেন। সেদিন এমনই নানান প্রশ্নের মজাদার উত্তর দেন কাঞ্চন মল্লিক।