মেয়েবেলার স্মৃৃতি রোমন্থনে মজলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সোমবার নিজের ছ🅰োটবেলার একটি ছবি পোস্ট করেন কঙ্গনা, সঙ্গে কিছুটা আফসোসের সুরেই জানান সেই বয়সেও নাকি সমবয়সীদের সঙ্গে খেলতে পছন্দ করতেন না তিনি, বরং সেই সময়টা কাজে লাগিয়ে নিজের পুতুলের জন্য জামাকাপড় তৈরি করতেন। সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সংবাদ শিরোনামে নায়িকা। একদিকে যেমন কৃষক আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জাহির করেছেন দিলজিত্ দোসাঞ্জ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোনম কাপুররা, সেক্ষেত্রে কঙ্গনার অবস্থান একদম অন্য মেরুতে। কেন্দ্রের সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন কঙ্গনা। এই নিয়ে টুইটারে দিলজিত্ দোসাঞ্জের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ান বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’-এর তকমা পাওয়া এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনা টুইটারের দেওয়ালে লেখেন, ‘শিশু হিসাবেও আমার মনে পড়ে না যে আমি অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতাম, সেই সময়ও আমার প্রিয় বিষয় ছিল ফ্যান্সি গাউন বানানো, জামা বানানো আমার পুতুলদের জন্য। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা চিন্তা-ভাবনা করে কাটাতাম। সেই কারণেই ওই চোখ দুটোর মধ্যে একটা পরিপক্কতার ছাপ রয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত ཧআমাদের অনেকেই জন্মগত বয়স্ক হয়, আমিও তাদের মধ্যে একজন’।
টুইটারে দুনিয়ায় নিজের উপস্থিতি জাহির করবার পাশাপাশি আপতত জয়ললিতার বায়োপিক ‘থালাইভি’র শ্যুটিং সারছেন অভিনেত্রী। এর আগে পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা জানিয়েছিলে🍸ন, দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান হওয়ায় খুব বেশি খুশি ছিল না তাঁর পরিবার। নিজেকে ‘আবাঞ্ছিত সন্তান’ বলে উল্লেখ করেন নায়িকা। ছোটবেলায় সকলে তাঁর সাজগোজের ধরণ নিয়েও হাসাহাসি করত সেই কথাও মাসখানেক আগের এক টুইটে উল্লেখ করেন কঙ্গনা।
যদিও সমালোচনাকে কোনওদিনই গায়ে মাখেন না কঙ্গনা। তিনি♊ স্ট্রেট ব্যাটে খেলে সব সমালোচনা আর কটাক্ষের মোক্ষম জবাব নেই। সুশান্ত মামলার পর থেকেই বলিউডকে নিজের নিশানায় নিয়েছেন অভিনেত্রী, প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে নেমেছেন মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার সঙ্গেও। বিএমসির তরফে তাঁর পালি হিলসের কোটি টাকার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হলেও দমে যাননি কঙ্গনা। হাইকোর্টে মামলা ঠুকে জয়ের চওড়া হাসি ফুটেছে তাঁর মুখে। যদিও সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে বিএমসি।