সারি সারি জুতো মেলা রয়েছে ঘর জুড়ে। গুনে শেষ করা দায়। বিভিন্ন রঙের ও রকমের ডিজাইনার স্টিলেটো, কিটেন হিল, ব্যালেরিনা ও লোফার সু- যা দেখে ভিরমি খাবেন আপনি। এটা কোনও শোরুমে সাজানো জুতোর কালেকশন, এটি কঙ্গনা রানাওয়াতের ব্যক্তিগত জুতোর কালেকশন। বছরের শেষদিন অনুরাগীদের সামনে এই সম্ভারের পসরা মেলে ধরলেন কঙ্গনা। তবে নিজেই নিজের ‘দাস’ হওয়ার আফসোসও জাহির করতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। টুইট বার্তায় কঙ্গনা লেখেন, ‘আমি যবে থেকে বাড়ি এসেছি, আমি শুধু পরিষ্কার করবার কাজ করে চলেছি। কথায় বলে, যা তোমার অধিকারে,সেটাও তোমাকে অধিকার করে থাকে। দিনের পর দিন এই মোছামুছির কাজ করে আমার মনে হচ্ছে আমি নিজেই নিজের দাস। আশা করছি আজ এগুলো শেষ হবে, এবং ২০২১ সালে আমি রানির মতো থাকব’। গত সপ্তাহেই নিজের জন্মভিটে মানালি থেকে মুম্বইয়ের বাড়িতে ফিরেছেন কঙ্গনা। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কঙ্গনার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় জারি রয়েছে। মুম্বইয়ে ফিরেই সপরিবারে মুম্বা দেবী ও সিদ্ধি বিনায়কের দর্শন সারেন কঙ্গনা। সেখানেও সাংবাদিকদের জোর গলায় নায়িকা জানান, ‘মুম্বইয়ে থাকতে হবে আমার শুধু গণপতি বাপ্পার আর্শীবাদ আর অনুমতি দরকার,সেটাই নিতে এসেছিলাম'। উল্লেখ্য, মুম্বইকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করবার পর রাজ্যের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সহ বহু নেতাই প্রকাশ্যে বলেছেন- ‘কঙ্গনার মুম্বইতে থাকবার প্রয়োজন নেই’, এদিন সেই কটাক্ষেরই পরোক্ষ জবাব দিলেন কঙ্গনা। অন্যদিকে নতুন বছরের প্রথম দিন ‘ধাকড়’ টিমের জন্য বাড়িতে শানদার পার্টির বন্দোবস্ত করেছেন কঙ্গনা। সেই প্রস্তুতির ঝলক তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি জয়ললিতার বায়োপিক ‘থালাইভি’র কাজ শেষ করেছেন কঙ্গনা। তাঁর হাতে রয়েছে রজনীশ ঘাইয়ের ‘ধাড়ক’। এই ছবি ভারতীয় সিনেমার ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে চলেছে জানিয়েছেন কঙ্গনা। এই নারীকেন্দ্রিক ছবিতে পুরোদস্তুর অ্যাকশন হিরো হিসাবে দেখা যাবে কঙ্গনাকে।