সুন্দর দেখাতে তন্বী শরীর থাকতেই হবে। না-হলেই পড়তে হবে বডি শেমিং-এর মুখে, আর গ্ল্যামার জগতে টিকতে গেলে তো সুন্দর ফিগার না থাকলে চলবেই না! এমনটাই ভাবনা থেকে ডিপ্রেশনে পর্যন্ত ভোগেন আজকাল অনেক নায়িকা। আর মেদ ঝরানোর এই চাপই কাল হল কন্নড় নায়িকা চেতনার। পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে প্লাস্টিক সার্জারির সিদ্♑ধান্ত নিয়েছিলেন এই কন্নড় অভিনেত্রী। আর সেই সার্জারির ফলেই ফুসফুস বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে চেতনা রাজের, এমনটাই অভিযোগ। চিকিৎসকের গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে চেতনার, অভিযোগ পরিবারের। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন চেতনার বাবা-মা।
সোমবার ‘ফ্যাট-ফ্রি’ প্লাস্টিক সার্জারির জন্য বেঙ্গালুরুর শেট্টিস কসমেটিক সেন্টারে (Shetty's Cosmetic Centre) ভর্তি হয়েছিলেন চেতনা। কিন্তু সেই সার্জারি পরিকল্পনামাফিক হয়নি। সার্জারি পারফর্ম করতে গিয়েই নায়িকাಌর ফুসফুসে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। জল জমতে শুরু করে ফুসফুসে। এরপর তড়িঘড়ি চেতনাকে নিয়ে অ্যানাস্থেসিস্ট মেলভিন এবং যে প্লাস্টিক সার্জন অপারেশন করেছিলেন তিনি এক বেসরকারি হাসপাতালে হাজির হন। তখন꧑ সময় বিকাল ৫.৩০টা। কার্ডিয়াক অ্যারেক্ট হয়েছে রোগীর এই বলে চিকিৎসা শুরু করতে জোরাজুরি করে। রীতিমতো হুমকি দেয় কাদে হাসপাতালের (Kaade Hospital) চিকিৎসকদের। জানায়, রোগীর অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলা যাবে না।
সেখানে অভিনেত্রীর চিকিৎসকরা ৪৫ মিনিট ধরে CPR দিয়েও চেতন🌸াকে বাঁচাতে পারেনি। পুলিশি অভিযোগে আইসিইউ-র দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সন্দীপ বলেন, প্লাস্টিক সার্জারির সংস্থার কর্মীরা জানতেন যে, চেতনার মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। তা সত্ত্বেও হুমকি দিতে থাকে। কা꧟দে হাসপাতালে পৌনে সাতটায় চেতনাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
‘গꦏীতা’, ‘দোরেসানি’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুবাদে অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন চেতনা। তাঁর এই অকাল মৃত্💃যুতে শোকের ছায়া কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে। ইতিমধ্যেই শেট্টিস কসমেটিক সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।