এতদিন টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়♏ে যায়। তবে এবার আপনাকে কাঁদাতে প্রস্তুত কপিল শর্মা! পাঁচ বছর পর রুপোলি পর্দায় ফিরছেন কপিল। আর এবার কমেডিং কিং ধরা দেবেন একদম অচেনা অবতারে। বাঙালি পরিচালক নন্দিতা দাশের ‘জুইগাটো’ ছবিতে এক ডেলিভারি বয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন কপিল। বুধবার প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার।
‘জুইগাটো’তে ডেলিভারি বয়দের জীবন-যুদ্ধের গল্প তুলে ধরেছেন নন্দিতা। কপিলের বিপরীতে এই ছবিতে থাকছেন শাহানা গোস্বামী। ট্রেলারে 𝔉কী ধরা পড়ল? একটি কোম্পানিতে ফ্লোর ইনচার্জের ডিউটি হারিয়ে চাপের মুখে খাবার ডেলিভারি করার কাজ নেন কপিল। এখন প্রতি মিনিটে সংগ্রাম তাঁর, সময়মতো খাবার পৌঁছে দিতে হবে গ্রাহককে। সেলফি তুললে মিলবে বাড়তি ১০ টাকা! ভালো রেটিং ওপাওয়ার তাগিদ সারাক্ষণ মাথায় ঘুরছে কপিলের। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে বরের পাশাপাশি নিজেও কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর স্ত্রী। পিতৃতন্ত্রে বিশ্বাসী কপিল বলেই ফেলে, ‘তোমাকে কাজ করতে দেখলে আমার ভালো লাগে না’। ‘খাবার পৌঁছে দেওয়া পুণ্যের কাজ’ মেয়েকে একথা বলে আশ্বস্ত করলেও সারাদিনের ছোটাছুটির ধকলে মানসিক শান্তি বিপর্যস্ত কপিলে।
নিম্নমধ্যবিত্ত সমাজের রোজদিনের লড𒉰়াই ফুটে উঠেছে গোটা ট্রেলারে। একটি অংশ বিশেষ করে চোখ টানে যেখানে প্যামফ্লেটে লেখা দেখানো হয় ‘ও মজদুর তাই মজবুর’ (শ্রমিক তাই অসহায়), যা দেখে কপিল বলে ওঠেন হয়তো ‘মজবুর তাই মজদুর’ (অসহায় তাই শ্রমিক)।
এর মাঝে একদিন আচমকাই এই জুইগাটো ডেলিভারি বয়ের রেটিং পড়ে যায়, কারণ জানতে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। কিন্তু এক সাধারণ কর্মীর কাতর আকুতিকে পাত্তা দিতে না-রাজ ম্যানেজমেন্ট। এরপর? কেমনভাবে নিজের জীবন সংগ্রাম জারি রাখবে এই স🦩াধারণ ডেলিভারি বয় তাই উঠবে আসবে পর্দায়।
বুসান, টরেন্টোর মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আগেই প্রশংসিত হয়েছে এই ছবি। আগামী ১৭ই মার্চ মুক্তি পে𒁏তে চলেছে নন্দিতা দশের ‘জুইগাটো’। এর আগে ‘ফিরাক’, ‘মান্টো’-র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন এই বঙ্গ তনয়া। ২০১৫ সালে ‘কিস কিসকো পেয়ার করু’ দিয়ে বড়পর্দায় অভিনয় শুরু কপিলের। তার পরে ‘ফিরঙ্গি’-তে কাজ করেছিলেন তিনি। দু-টো ছবিই বক্স অফিসে সেভাবে সাড়া ফেলেনি। তাই কোনওকিছু হারানোর ভয় নেই কপিলের। নিজের মুখেই অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘এই ছবি ফ্লপ হলে আমি কিছু হারাব না, তবে লোকে যদি বলে কপিল ভালো কাজ করেছে, সেটাই হবে আমার সেরা পাওনা’।