সালটা ১৯৯৪। ঐশ্বর্য রাইকে হারিয়ে 'মিস ইন্ডিয়া' 🐈প্রতিযোগিতা জিতে নেন সুস্মিতা সেন। ঐশ্বর্য রাই হয়েছিলেন রানার্স আপ। এরপর ওই একই বছর 'মিস ইউনিভার্স'-এর খেতাব জেতেন সুস্মিতা, ঐশ্বর্য হয়েছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড। তবে এটা নিয়ে বারবারই বঙ্গতনয়া সুস্মিতার সঙ্গে ঐশ্বর্যর তুলনা চলেই আসে। একবার এমনই এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুস্মিতা, আর প্রশ্নকর্তা ছিলেন করণ জোহর। কী উত্তর দিয়েছিলেন বঙ্গতনয়া?
২০০৫ সালে করণ জোহরের বিতর্কিত ও চর্চিত𓂃 শো 'কফি উইথ করণ'-এ হাজির হয়েছিলেন সুস্মিতা। করণ তাঁ༺কে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কী মনে হয় ওই দিন রাতে আপনি সত্যিই প্রতিযোগিতে জেতার যোগ্য ছিলেন?’ সুস্মিতার হাসি মুখে জবাব ছিল 'অবশ্যই, নাহলে জিতলান কেন!' করণ পাল্টা প্রশ্ন করেন 'ঐশ্বর্যর সঙ্গে বারবার তুলনা চলেই আসে, ঐশ্বর্য থেকে আপনার পারফরম্যান্স বেটার ছিল বলে মনে হয়?' এক্ষেত্রে সুস্মিতার জবাব ছিল, ‘আমি সেটা মনে করি না, ঐশ্বর্যর সঙ্গে তুলনা করতেও চাই না। আমার মনে হয়, ওইদিন আমিই ছিলাম সেরা, তাই জিতেছি।’
সুস্মিতা বলেন, ‘আমি দুটো জিনিসে বিশ্বাস করি। ’এক, ওই রাতে, আমি সেরা ছিলাম এবং সেই কারণেই আমি জেতার যোগ্যও ছিলাম। অন্যকারোর থেকে ভালো ছিলাম বলে নয়। একটাই কারণ আমিই সেরা। আর দ্বিতীয় হল আমি মনে করি আমি ওই র♎াতে অন্য সবার চেয়ে ভাগ্যবান ছিলাম, ভাগ্য সব সময় সাহসীকে সাহায্য করে।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুস্মিতার এই ভিডিয়োটি উঠে আসতেই এর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সকলেই একপ্রকার সুস্মিত🅘ায় মুগ্ধ। কেউ লিখেছেন, ‘সুস্মিতা সেনের ব্যক্তিত্বই আলাদা, ওঁর মতো সুন্দর কথা বলেন, এমন মানুষ কমই আছেন।’ কেউ আবার সুস্মিতার মধ্যে ডায়নার ছায়া দেখেছেন। কেউ মনে করেন, সুস্মিতার উত্তরই করণের গালে একটা কষিয়ে চড় মেরেছে।
এর আগে একবার সুস্মিতা জানান, দেশ ছাড়বার ঠিক আগের মুহূর্তে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিলেন সুস্মিতা। তিনি বলেন,'পাসপোর্টটা সেই সময়কার ফেমাস মডেল তথা ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটার অনুপমা বর্মাকে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের একটা শোয়ের জন্য ও আমার পাসপোর্টটা নিয়েছিল, আইডি প্রুফের জন্য ওট𓃲া ওর দরকার ছিল। আমি মিস ইন্ডিয়া কমিটিকে বলেছিলাম চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমার পা💙সপোর্ট সুরক্ষিত আছে। এরপর শেষ মুহূর্তে অনুপমা আমার পাসপোর্ট খুঁজে পাচ্ছিল না! ভীষণ ভয়ঙ্কর মুহূর্ত ছিল সেটা’।
বিষয়টা জানাজানি হলে মিস ইন্ডিয়ার আয়োজকদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মিস ইন্ডিয়া ১৯৯৪-র রানার্স আপ ঐশ্বর্য রাইকে সু্স্মিতার জায়গায় মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে পাঠানো হবে। মাসখানেক পরে অনু্ষ্ঠিত হতে চলা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতার জন্য সুস্মিতাকে পাঠানো হবে। এই প্রস্তাবে ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন সুস্👍মিতা। ‘যখন তুমি কিছু জেতো নিজের ট্যালেন্ট এবং পরিশ্রম দিয়ে তাহলে কেন সেটা তোমার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে’? প্রশ্ন উঠেছিল এই বঙ্গসুন্দরীর মনে।
‘বলাটা খুব সহজ ছিল,যে পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে। মিস 𒊎ওয়ার্ল্ড নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তাই তুমি তখন যেও,ততদিন আমরা তোমার পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে ফেলব’, জানান এই প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী। সেইসময় নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সুস্মিতা। কাঁদতে কাঁদতে বাবার সামনে একটাই কথা বলেছিলেন, 'আমি যেতে হলে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করব না হলে কোথাউ যাব না। ওখানে যাওয়াটা আমার প্রাপ্য, তুমি কিছু একটা কর বাবা’।
মেয়ের কান্না দেখে সুস্মিতার বাবা দৌড়ে গিয়েছিলেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় 💝মন্ত্রী রাজেশ পাইটলের কাছে, তাঁকে সব🔯রকম সাহায্য করেছিলেন রাজেশ পাইলট। সময় থাকতে থাকতে নতুন পাসপোর্ট পেয়েছিলেন সুস্মিতা।