দ্বিতীয় সন্তান জেহ-র জন্মের পর 'প্রেগনেন্সি বাইবেল' এর শিরোনামে একটি বই লেখেন করিনা কাপুর খান। মাতৃত্ব এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তাতে। ‘কারিনা কাপুর খান'স প্রেগন্যান্সি বাইবেল: দ্য আলটিমেট ম্যানুয়াল ফর মমস-টু-বি’ নিয়ে এবার উঠেছে আইনি জট। প্রস⭕ঙ্গত, এই বই প্রকাশের পর এটিকে নিজের ‘তৃতীয় সন্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে প্রকাশিত বইয়ে 'বাইবেল' শব্দটি ব্যবহার করায় আইনি নোটিশ পেয়েছেন কারিনা।
বলিউড হাঙ্গামা দ্বারা রিপোর্ট করা হয়েছে, করিনার আইনজীবী, দিব্যা কৃষ্ণ বিল্লাইয়া এবং নিখিল ভাট, সম্প্রতি আদালতে হাজির হয়েছিলেন, ♓যেখানে তারা স্পষ্ট করেন যে, অভিনেত্রীর কারও অনুভূতিতে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। করিনার আইনজীবীরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে বইটি কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে লেখা নয়। এই বিষয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকꦰোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে ১০ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: ‘নকল শাড়ি’ বিক্রি! শতরূ✅পার সঙ্গে ঝামেলায় কেয়া শেঠ, ‘মাকে শেখাও’ পরামর্শ মেয়েদের
এই বছরের মে মাসে, করিনা তার বইয়ের শিরোনামে 'বাইবেল' শব্দটি ব্যবহার করার জন্য মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট থ𝓰েকে নোটিশ পেয়েছিলেন। ক্রিস্টোফার অ্যান্টনি নামে একজন আইনজীবী 💎বইটির শিরোনাম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এবং এটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করার পরে বলিউড অভিনেত্রীকে নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুসলিম পরিবারে জন্ম! বাবার থেকে ধর্ম নিয়ে কী💃 শিক্ষা পেয়েছেন, খোলসা ফারহানের
ওই আইনজীবী দাবি করেছেন যে, করিনার বইয়ের শিরোনামে 'বাইবেল' শব্দের ব্যবহার খ্♛রিস্টান সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমনকী বাইবেল শব্দটি ব্যবহার করে নিজের বইয়ের জন্য ‘সস্তা প্রচার’ পাওয়ার চেষ্টা করাছেন তৈমুর আর জেহ-র মা, দাবি করেন তিনি। ‘বাইবেল হল সারা বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ এবং বাইবেলের সঙ্গে করিনা কাপুর খানের গর্ভাবস্থার তুলনা করা ভুল’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাদানের টিজার আগেভাগেই দেখলেন সৃজিত! তারপর দেবকে এসব কী বল⛄ে ফেললেন পরিচালক
জানা গিয়েছে যে, এই অ্যাডভোকেট প্রথমে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বইয়ের জন্য এফআইআর দায়ের করতে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন, যা ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে, পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে অস্বীকার করলে, তিনি নিম্ন আদালতে যান। নিম্ন 🍷আদালত থেকেও তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, যেখানে রায় দিয়ে বলা হয়, বইয়ের শিরোনামে ‘বাইবেল’ শব্দের ব্যবহার কীভাবে আপত্তিকর, তা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট অ্যান্💎টনি অতিরিক্ত দায়রা আদালতে গেলে, সেখান থেকেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।