২০০৫ সালে বিয়ে করেন আমির খান ও কিরণ রাও। এরপর ২০২১ সালে তাঁরা যৌথভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। তবে দুজনে আইনিভাবে আ✅লাদা হ🌊লেও, এখনও একসঙ্গেই দেখা যায় দুজনকে বেশিরভাগ সময়। তা সে ভোট দিতে যাওয়া হোক বা জন্মদিনের কেক কাটা। দুজনের ‘চিপকে থাকা’ নিয়ে ট্রোলও কম হয় না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিরণ রাও জানান, শুধুমাত্র পরিবারকে খুশি করতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি আর আমির।
আপাতত লাপাতা লেডিজের সাফল্যের পর ক্রমাগত চর্চায় আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী। পরবর্তীতে বিয়ে করার কথা ভাবছেন কি না, জানতে চাওয়া হলে কিরণ রাওয়ের কাছ থেকে জবাব আসে, ‘আমি এবং আমির বিয়ে করার আগে প্রায় এক বছর একসঙ্গে বসবাস করেছি এবং সত্যই, আমরা এটি আরও করেছি কারণ বাবা-মা এটাই চেয়েছিল। এমনকী সেই সময়েও আমরা জানতাম যে, আপনি যদি এই প্রতিষ্♛ঠানের মধ্যে ব্যক্তি এবং দম্পতি হিসাবে কাজ করতে পারেন তবে এটি একটি দুর্দান্ত প্রতিষ⛦্ঠান।’
‘বিয়ে নামক সামাজিক অনুমোদনটি সত্যিই অনেক লোকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে একটি নতুন পরিবার দেয়, এ🌺টি আপনাকে অনেক ধরনের সম্পর্ক দেয় এবং এটি আপনাকে নিরাপত্তা💝 এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি দেয়।’, আরও বলেন কিরণ রাও।
তবে বিয়ের পর মেয়েদের উপর আসা দায়িত্ব যে অনেকসময় বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, সেকথাও বলতে শোনা গেল কিরণকে। নারী স্বাধীনতা নিয়ে সবসময় ♑গলা ফাটান🔥ো কিরণকে বলতে শোনা যায়, ‘ঘর চালানো, পরিবারকে একসঙ্গে রাখার জন্য মহিলাদের উপর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আশা করা হয়, মহিলারা তাঁদের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে। মহিলারা স্বামীর পরিবারের সঙ্গে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে, এটাই আশা থাকে সকলের। এই প্রত্যাশার বোঝা কমাতে আমি মনে করি আলোচনার প্রয়োজন।’
এর আগেও কিরণ রাওকে বলতে শোনা যায়, তিনিই বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন আমির খানের থেকে। তাঁর কথায়,💮 ‘আমরা একে অপরকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। তাই ডিভোর্সের পরেও এটি বদলায়নি। আলাদা হওয়া নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম না কখনোই। আমি স্বাধীনভাবে বাঁচত🌸ে চেয়েছিলাম আর আমার মনে হয়েছিল বেড়ে ওঠার জন্য আলাদা হওয়াটা দরকার। সবচেয়ে বড় কথা হল আমির আমার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। আমার পাশে ছিল সবসময়। তাই ডিভোর্সে ভয় পাইনি।’
কিরণ ও আমিরের আজাদ নামে একটি ছেলে রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও, ছেলের সব দায়িত্ব তাঁরা পালন করেন যৌথভাবে। বছরের শুরুতে ইরা খানের বিয়েতেও একসঙ্গেই অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী, বিয়ের অনুষ্ঠানে বে🍸শ ঘনিষ্ঠভাবে ধরা পড়েছিলেন তাঁরা ক্যামেরায়।