রিনা দত্তের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর ২০০৫-এ কিরণ রাওকে বিয়েﷺ করেছিলেন আমির খান। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর পর সকলকে অবাক করে হঠাৎই বিবাহ-বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন আমির-কিরণ। সম্প্রতি বিবাহ-বিচ্ছেদের ২ বছর পর আবারও একবার হঠাৎই প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে প্রথম আলাপ 𒉰নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির।
কিরণ রাꦬও জানিয়েছেন, 'স্বদেশ' ছবির সেটে আমিরের সঙ্গে তাঁর আালপ ও বন্ধুত্বের শুরু হয়। তারপরই ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক এগিয়ে চলে। কিরণ জানিয়েছেন আমির নিজে অভিনেতা হলেও তিনি নাকি বিশেষ সিনেমা দেখেন না। এমনকি ছোটবেলাতেও আমিরের নাকি বিশেষ সিনেমা দেখার অভ্যাস ছিল না। সিনেমা দেখার থেকে আমির বই পড়তেই বেশি পছন্দ করেন।
কিরণের কথায়, সম্পর্কের শুরুতে আমির তাঁকে একটা হাসিখুশি জীবন দিয়েছিলেন, যেটা তাঁদের সম্পর্কের তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছিল। এমনকি মানুষ হিসাবে তাঁদের বহু মিল রয়েছে, যেগুলি তাঁদের একে অপরকে কাছাকাছি এনেছে। কিরণ জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের ছেলে আজাদ রাওকে স𝓰িনেমা দেখতে উৎসাহিত করেন, তবে আজাদও সিনেমা দেখতে পছন্দ করে না। তবে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তাঁর নিজের পরিচালনায় তৈরি 'লাপাতা লেডিজ' ছবিটিও আজাদের ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন কিরণ রাও। তবে এই ছবির প্রিমিয়ারে আসার জন্য আজাদকে অনুরোধ করতে হয়েছ🍨িল।
এদিকে কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে কেন তাঁরা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেকথাও প্রকাশ করেন কিরণ রাও। কিরণ বলেন, ‘বিয়ের আগে আমির এবং আমি প্রায় এক বছর একসঙ্গে ছিলাম এবং সত্যি বলতে আমরা বাবা-💟মায়ের কারণে এটা আমরা করতে বাধ্য হয়েছি। তখনও আমরা জানতাম যে আপনি যদি কোনও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জুটি হিসাবে থাকতে পারেন তবেই সেটা একটা দুর্দান্ত প্রতিষ্ঠান। তবে আমি মনে করি আপনারা যেভাবে বিয়েকে ব্যাখ্যা করেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাতে একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ছিল। এই সা👍মাজিক অনুমোদন সত্যিই অনেক লোকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটা সন্তানদের জন্য জরুরি’।
কিরণ জানিয়েছিলেন ১৬ বছরের দাম্পত্যে তাঁদের নাকি কখনও ঝগড়াই হয়নি। কিরণের কথায়, ‘আমির আর আমি খুব দৃঢ় ছিলাম এবং দুজন মানুষ হিসেবে আমাদের সম্পর্ক খুব দৃঢ় ছিল। আমরা একে অপরের সঙ্গে খুবই সংযুক্ত। এখনও আমরা একে অপরকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি, এটা এখনও পরিবর্তিত হয়নি (ডিভোর্সের পরেও), তাই আমি বিষয়টা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। আমি জানতাম যে আমার জা😼য়গা দরকার। আমি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম এবং আমার নিজের বেড়ে ওঠার জন্য ডিভোর্স দরকার ছিল। আমি অনুভব করেছি যে এটি আমার নিজের বিকাশের জন্য এবং আমিরও আমার সিদ্ধান্তকে স্বীকার করেছে এবং সমর্থন করেছে ... তাই ডিভোর্সকে আমি ভয় পাইনি।’