গত জুলাই-তে মেয়ে তিশাকে হারান প্রযোজক কৃষাণ কুমার ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া সিং। তিশা সম্পর্কে ভূষণ কুমারের তুতো বোন হন। জানা গিয়েছিল, ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিশার। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন তিশার মা তানিয়া। যেখানে তিনি বিস্ফোরক দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়নি। চিকিৎস💎ার ফাঁদে পড়েছিল তাঁদের মেয়ে।
নিজের আবেগপূর্ণ পোস্টে মেয়ে তিশার সঙ্গে কাটানো সু﷽ন্দর কিছু হাসিখুশি মুহূর্তের কোলাজ ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। পোস্টের সঙ্গে লিখেছেন, 🌺‘কীভাবে, কী এবং কেন’- হেডলাইন দিয়ে লিখেছেন, ‘অনেক লোক লিখেছে এবং আমাকেও তাঁরা বলতে বলছেন যে ঠিক কী হয়েছিল। আমি সত্য ঘটনা বলছি, একজন ব্যক্তি যখন উপলব্ধি করেন এটা তাঁর সঙ্গী কীভাবে ঘটেছিল।’
শোকার্ত 'মা' তানিয়া কাতর স্বরে জানিয়েছেন যে একজন খাঁটি নির্দোষ আত্মা যখন অন্য কারোর করা কারণে অন্যায়ের শিকার হয়। তখন সেটা কতটা ‘বিভ্রান্তিকর’ হয়ে ওঠে এবং ‘জটিল হয়ে যায়’। ক্ষুব্ধ তানিয়ার কথায়, ‘কেউই কর্মফল থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন না, দৈব ন্য🔜ায়বিচার হবেই।’
তা𓄧নিয়া আরও লিখেছেন, ‘কখনও কখনও, নিজের জন্য নয় বরং অন্য কারও খারাপ কর্মের কারণে জীবনটাই চলে যায়। তিনি লিখেছেন, ’দর্শন কী বলছে, তাতে কিছু যায় আসে না। এটা ভুল চিকিৎসা, ভুল রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার নামে ব্যবসা যাই হোক না কেন, লোকজন দুষ্টু চোখ, কালা জাদু, নজর লাগা, ইত্যাদিতে বিশ্বাস না করলেও কিছু যায় আসে না। এই সবই সত্যের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক, অন্য কেউ কীভাবে তাতেও কিছু আসে যায় না, কারণ আপনি যা জানেন তা অন্য কেউ জানে না। সময়ের সঙ্গে সত্য প্রকাশিত হবেই।'
তানিয়া জানিয়েছেন, কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, তাঁর মেয়ে কখনও ভয় পায়নি বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে প🍌ড়েনি। সে সাহসী হওয়ার এক উদাহরণ। সে মাত্র ২০ বছর বয়সেই সবচেয়ে নির্ভীক ও শান্ত ছিল। তানিয়া জানিয়েছেন, যে তাঁর মেয়ে কীভাবে রোগ নির্ণয়ের পর সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
তানিয়া জানিয়েছেন, ‘সত্যিটা হল যে আমার মেয়ের শুরুতে ক্যানসার হয়নি। ১৫ এবং ১/২ বছর বয়সে ওর একটা ভ্যাকসিন নিয়েছিল, যার কারণে ও অটোইমিউনে ♛আক্রান্ত হয়। যা ভুল রোগনির্ণয় হয়। (আমরা তখন এটি জানতাম না)’
সবশেষে তানিয়া লিখেছেন, আমি সমস্ত বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ করব, যদি কখনও সন্তানের লিম্ফ নোড ফুলে যায় ত🌄াহলে অস্থি মজ্জা পরীক্ষা বা বায়োপসি করার আগে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কোনও চিকিৎসকের মতামত নিন। লিম্ফ নোডগুলি শরীরের প্রতিরক্ষা কবজ। বিভিন্ন কারণে যেমন মানসিক আঘাত বা প্রত্যাখ্যান, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি নানান অনুভূতির কারণে সেগুলি ফুলে যেতে পারে। এত তথ্য জানার অনেক আগেই আমরা চিকিৎসা ফাঁদে পা দিয়ে দিয়েছিলাম। আমি প্রতিদিন প্রার্থনা করি, আমরা যে পিরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেন আর কোনও শিশু বা বাবা-মা 🎃না যান। এই বিশ্বে চিকিৎসার লুকনো ফাঁদ পাতা রয়েছে, নেতিবাচক শক্তির মুখোমুখি যেন কাউকে না হতে হয়'।