রবিব🎀ার সকাল ৮.১২ মিনিটে সুর থামল গোটা দেশের। চিরঘুমে চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী। ২৮দিনের লড়াইয়ে ইতি, প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর। জꦉানুয়ারির মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। করোনার সঙ্গে দোসর হয়ে ছিল নিউমোনিয়া। গায়িকার বয়স ভাবাচ্ছিল চিকিত্সকদের। তাই তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। করোনা-কে হারিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ভারতের কোকিলকন্ঠী, প্রার্থনায় শামিল ছিল গোটা দেশ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না!
লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এন সান্থানাম। কোভিড পরবর্তী জটিলতার জেরেই মৃত্যু হল লতা মঙ্গেশক🗹রের, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্সক প্রতীত সামধানি জানান, ‘মাল্টি অর্গান ফেইলিউরের জেরেই মৃত্যু হল লতা মঙ্গেশকরের, কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি, করোনা মুক্ত হয়েছিলেন কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতার জেরে স্তব্ধ হল তাঁর যাত্রা’।
আজ বেলা ১২টার পর লতা মঙ্গেশকরের মরদেহ প্রভাতকুঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া 🍌হবে। দুপুর ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত সেখানে শেষশ্রদ্ধা জানানো যাবে প্রয়াত গায়িকাকে। আজ সন্ধ্যা ৬.৩০ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের। রাজ্য সরকার তাঁর শেষকৃত্যের সবরকম ব্যবস্থাপনা করেছে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। লতাজির মৃত্যুতে 'বিধ্বস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী, ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে পৌঁছেছেন তিনি।
১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা। সঙ্গীত জগতের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লতার সুরেলা কন্ঠের জཧাদুতে বুঁদ থেকেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
সাত দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে ত্রিশ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। ২০০১ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়েছে। এর আগে ‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্মবিভূষণ’-এর মতো নাগরি♓ক সম্মানও দেওয়া হয়েছে লতা মঙ্গেশকরকে। চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে দ্বারাও সম্মানিত হয়েছেন তিনি।