টেলি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওরফে ছোট পর্দায় দর্শকদের প্রিয় আনন্দী। শাশুরাল সিমর কা, হামౠ হ্যায় না, রক্ত সম্বন্ধ, বালিকা বধূ সহ একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১০ সালে তাঁর কাছে 'বালিকা বধূ'র অফার আসে। অভিকা করকে বাদ দিয়ে প্রত্যুষাকে ধ🌟ারাবাহকে নেওয়া হয়। বিগ বসের ৭-নম্বর সিজেনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রত্যুষা। 'বালিকা বধূ' ধারাবাহিকের তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ শীর্ষে পৌঁছায়।
আচমকা দুর্ঘটনা। ২০ꦐ১৬ সালের পয়লা এপ্রিল মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রত্যুষার ঝুলন্ত দেহ। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে বিনো দুনিয়ায়। তাঁর মৃত্যুতে অভিযোগের অঙুল উঠেছিল তৎকালীন প্রেমিক রাহুল রাজ সিংয়ের উপর। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অভিযোগও দায়ের করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রত্যুষার মা-বাবা। মানসিক অবসাদ💯, নাকি অন্য কোনও কারণ তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
জামশেদপুর থেকে একরাশ স্🧜বপ্ন নিয়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন প্রত্যুষা। ꦍতাই মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ প্রত্যুষার বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিচারের আশায় কোর্টে কেস করেন প্রত্যুষার বাবা। পরিবারের দাবি, প্রত্যুষা কিছুতেই সুইসাইড করতে পারেন না। তাঁকে খুন করা হয়েছিল।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের সুবিচারের লড়াই লড়তে লড়তে তিনি এখন নিঃস্ব। হাতে একটাও টাকা নেই তাঁর। একট💜া ছোট্ট ঘরে কোনরকমের দিন কাটে তাঁদের। অভাব ও কেস লড়ার জন্য লোন পর্যন্ত নিতে হয়েছে তাঁদের। প্রত্যুষার সঙ্গꩲে তাঁদের সব কিছুই হারিয়ে গিয়েছে। তবুও মেয়ের জন্য লড়াই থামাবেন না। অনাহারে হলেও মেয়ের জন্য লড়বেন বলে জানিয়েছেন।