সদ্য ইদ গিয়েছে, পয়েলা বৈশাখ-বিহুর মতো উৎসবের প্রস্তুতিতে বিভোর ছিল গোটা দেশ। হঠাৎ করেই তাল কাটে রবিবার কাকভোরে। সলমন খানের মুম্বইয়ের বাড়ির সামনে ভোর ৫টা নাগাদ ৪ রাউন্ গুলি চালায় দুই অজ্ঞাত পরিচয়। সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বান্দ্রার বাসভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ডান হাত। পুলিশ সূত্রে খবর, সলমন খানের বাড়ির বাইরে যে দু'জনই গুলি চালিয়েছিল, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। আরও পড়ুন-বাইক🔥ে বস⛦েই সলমনের বাড়িকে তাক করে গুলি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের! প্রকাশ্যে সেই হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই বন্দুকবাজের মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দু'জনেই বাইকে থাকাকালীন ব্যাকপ্যাকꦰ নিয়ে ছিল, পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল।
জানা যাচ্ছে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই এই কাজের জ𓃲ন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, গোদারাকে তার বিশাল নেটওয়ার্ক থেকে পেশাদার শ্যুটার নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সলমনের বাড়ির সামনে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর জন্য।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে হামলার দায় স্বীকার করে আনমোল বিষ্ণোই। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভিপ𝄹িএন সংযোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকবাজের মধ্যে একজন গুরুগ্রামের বাসিন্দা এবং তারা রোহিত গোদারার সঙ্গে যুক্ত। গত মার্চে গুরুগ্রামের ব্যবসায়ী সচিন মুঞ্জলের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই সন্দেহভাজন। গোদারা মার্চ মাসে শচীন মুঞ্জাল হত্যার দায় স্বীকার করেছিল। তিনি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, তার ভাই আনমোল এবং গꦦোল্ডি ব্রারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
গত বছরের মার্চ মাসে সলমন খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেল আসে। ভাইজানের পরিণতিও হবে সিধু মুসেওয়ালার মতো লেখ ছিল সেই হুমকি ই-মে🌞লে। যার পরে মুম্বই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে♍ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে।
প্রশান্ত 💙গুঞ্জলকর নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর রুজু হয়। আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মালিক প্রশান্তই সলমনের বাড়িতে আসা ওই হুমকি ই-মেল প্রথম দেখেছিলেন।
জানিয়ে রাখি, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার জেরেই সলমনের উপর রোষ লরেন্স বিষ্ণোই। রাজস্থানের এই গ্যাংস্টারের জাতির মানুষদের কাছে ভগবানের আসনে রয়েছে কৃষ্ণসার হরিণ। তাই কিশোর বয়স থেকেই সলমনকে খতম করার শপথ নিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে সাংবাদিকদের ক্যাম𓂃েরার সামনে সলমনকে শেষ করার কথা বললেন বিষ্ণোই। তবে হামলার ঘটনাকে পাত্তা দিতে না-রাজ ভাইজান।
সোমবার নিজের ফিটনেস ব্র্যান্ড ‘বিয়িং স্ট্রং’ দুবাইতে শুরু করার ঘোষꦅণা করেছেন তিনি, দিয়েছেন ভিডিয়ো বার্তা। খবর, নিজের টিমকেও নিয়ম মতো সব কাজ হয়। ছবির শ্যুটিং না থাকলেও বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং রয়েছে বেশকিছু, শেডিউল মেনেই তা করতে চান তারকা।