ব্রিগেডের ‘জনগর্জন সভা’র মঞ্চ থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘꩵোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় অনেক নতুন নাম থাকলেও টিকিট পাননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর বদলে বাঁকুড়া আসনে তৃণমূল টিকিট দিয়েছে তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। বাঁকুড়া লোকসভা থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন সায়ন্তিকা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই দেখা যায়, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অরূপ চক্রবর্তীকে। এর পরেই হতাশায় মুখ ঢেকে যায় সায়ন্তিকার। প্রাথমিক ভাবে অভিমান হলেও দ্রুত তা কাটিয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। এদিকে সায়ন্তিকাকে তাঁর হয়ে প্রচারে দেখা যাবে বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্র♛ার্থী অরূপ চক্রবর্তী। অরূপ জানান, দল যাঁকে যোগ্য বলে মনে করেছে তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছে। হুট করে কাউকে ছাদে উঠিয়ে দেওয়া যায় না বলেও মনে করেন অরূপ।
বাঁকুড়া লোকসভায় প্রার্থী অরূপ বলেছেন, 'অভিমানটা কীসের? দল ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে। আমি আছি মানে, আমাকেই প্রার্থী করতে হবে, এর কোনও মানে হয় না। আমি তো এত দিন ধরে দল করছি। প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, বিধায়ক, তার পর তো সাংসদ! হ꧋ুট করে তো আর ছাদে উঠিয়ে দেওয়া যায় না! ধাꦬপে ধাপে উঠতে হয়। ও আমাকে বলেছে, প্রচারে আসবে। ওটা কিছু না। কোনও ব্যাপার না।’
এ দিকে টিভি-৯ বাংল🦹াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার সায়ন্তিকা জানান, ‘ভালোবাসা থাকলে অভিমান থাকবে। একটা বিধানসভায় হেরে সাতটি বিধানসভায় এবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ আমাকে নিতে দেওয়া হলಌ না। আক্ষেপ তো থাকবেই। এটাই আমার সবথেকে বেশি খারাপ লাগা’।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু বিজেপির কাছে হেরে যান তিনি। তবে হারলেও বাঁকুড়াকে ছাড়েননি তিনি। এরপরই সায়ন্তিকার মন্তব্য, ‘বছর কয়েক আগে যখন দলের মধ্যে দোলাচল শুরু হয় তখন অনেকেই আমাদের দল ছেড়ে বিজেপিতে ꦓচলে যায়। আমি কিন্তু তখনও ♊দলের পাশেই ছিলাম। দলের সঙ্গে থেকেই রোদ ঝড় বৃষ্টিতে কাজ করেছি। তাই আমি আমার আক্ষেপের কথা দিদি ছাড়া কাকেই বলব’।