বেজে গিয়েছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা। নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনไ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করবেন বলে জানান তিনি। এর পরই তারকাখচিত লড়াইয়ের ময়দান হয়ে ওঠে হুগলি।
ভোটের ময়দানে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনয়ের মঞ্চ থেকে এবার রাজনৈতিক ময়দানে ‘দিদি নম্বর ১’। সক্রিয় রাজনীতিতে কোনওদিন দেখা যায়নি তাঁকে। কীভাবে ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে এলেন? সংবাদমাধ্যমকে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা অবশ্য জানিয়েছেন, ‘কিছু কিছু জিনিস একটু গোপন থাকাই ভালো। এসেছি এটাই নতুন থাকুক না! দিদির সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল। তিনি বলছিলেন, আমি একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। কাজ করে, ঠিকঠাক সময় দিতে হয়। আমি যখন যা করেছি একশো শতাংশ দিয়ে করেছি। সবসময় এটা মনে থাকে যে, যেটা করব, যেটাতে মন দেব, একশো শতাংশ দেব। দিদি যখন বলেছিলেন তোমাকে আমার পাশে থাকতে হবে। তারপর আর কোনও কথা নেই।’ আরও পড়ুন: দূর থেকে সেলফি তোলার চ🦩েষ্টা ভক্তের, রাগের চোটে তেড়েফুড়ে উঠলেন সলমন! কী ঘটেছে
রাজনীতিতে আনকোরা রচনা। শুরুতেই লোকসভা নির্বাচনের মতো বড় ধাক্কা সামলাতে হবে তাঁকে। তৃণমূলের সভা বা মিছিলে কোনও দিনও দেখা মেলেনি তাঁর। রাজনীতিতে আসছেন সেভাবে কোনও ঘোষণা করেননি কোনও দিন। তাহলে কবে তৃণমূলে যোগ দিলেন? রচনা জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলে আজকে যোগ দিলাম আজকেই প্রার্থী হলাম। তৃণমূলের সমর্থক অনেকদিন ধরেই ছিলাম। এমন নয় যে অন্য কোনও দলের সমর্থক ছিলাম বা হঠাৎ করে তৃণমূল আমার জীবনে এল। হয়ত আমি রাজনীতি করিনি। দিদির সমর্থক বরাবরই ছিলাম। কারণ আমি নারীবাদী, নারীশক্তিতে বিশ্বাসী। যাঁর মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী, তাঁর পাশে যদি র🌸চনা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকে, তাহলে আর কে থাকবে!’
রচনা বনাম লকেট
হুগলি লোকসভা কেন্দ্র পুনর্দখল করতে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পালটা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তবে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটের ফলের ফ্যাক্টর হিসাবে♎ মানছেন না লকেট। তাঁর দাবি, এই ভোট মোদী বনাম মমতার লড়াই। এখানে লকেট বা রচনা ফ্যাক্টর না। দুজনেই সমসাময়িক অভিনেত্রী। একসঙ্গে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কাজও করেছেন। সেই লকেট আর রচনা মুখোমুখি হুগলি লোকসভা আসনে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হুগলি থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এর পর বিজেপিতে তাঁর উত্থানও ছিল চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্রীয় বিজেপি তাঁকে একাধিক গুরু দায়িত🉐্ব দিয়েছে। দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও। প্রায় ১০ বছর আগে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেন লকেট। প্রথমে তৃণমূলে যোগদান করলেও পরে নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। রুপোলি পর্দাকে অতীত করে তিনি এখন সম্পূর্ণ রাজনীতিক।
এদিক রচনা তৃণমূল প্রার্থী হয়েছে😼ন শুনে লকেট বলেন, ‘এটা মোদীজি বনাম মমতার লড়াই। এখানে রচনা লড়ে কিছু করতে পারবে না। আমরা একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি। তবে এটা লকেট – রচনার লড়াই এটা কেউ মানবে না।’