অভিনেতা হিসেবে তাঁর দক্ষতা প্রশ্নাতীত। ঐতিহাসিক চরিত্র থেকে শুরু করে মদ্যপ ব্যক্তি, পর্দায় সব ধরণের ভূমিকায় স্বচ্ছন্দ মহেশ মঞ্জেরকর। অন্যদিকে, পরিচালক হিসেবেও যথেষ্ট সফ🍎ল তিনি। তাঁর পরিচালিত ছবি 'বাস্তব'-এ অভিনয় করে কেরিয়ার ঘুরে গেছিল সঞ্জয় দত্তের। একাধিক সুপারহিট মারাঠা ছবির নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। পর্দার বাইরেও নিজের ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য দারুণ জনপ্রিয় এই অভিনেতা-পরিচালক। এবার সোজাসাপ্টাভাবে নিজের মেয়ে সাই মাঞ্জেরেকরের অভিনয়ের সমালোচনা করতেও ছাড়লেন না তিনি!
ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরও একটুও বদলে যাননি মহেশ। এখনও অটুট তাঁর মনোবল থেকে নির্ভীকতা। উপরন্তু নেপোটিজমও তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। তাই তো নিজের মেয়ে সাই-এর অভিনয় নিয়ে প্রকাশ্যে কাঁটাছেড়া করে সমালোচনা করতে একটুও কুন্ঠিত বোধ করেননি তিনি। ‘দাবাং ৩’-এ সলমন খানের বিপরীতে বলিপাড়ায় ডেবিউ করেছেন সাই। মেয়ের সেই পারফরমেন্সের বিষয়ে বলতে গিয়ে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এর পরিচালক সোজাসুজি জানালেন তেমন একটা ভালো লাগেনি তাঁর মেয়ের অভিনয়। জানান, সলমন নিজে সাইকে ওই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তাই আমিও সাইকে কিছু বলেনি। জানতাম ক্যামেরার সামনে ও স্বচ্ছন্দ। অভিনয়ের প্রথমদিন ফ্লোরে উপস্থিতও ছিলাম। মনিটরে ওঁর কাজ দেখছিলাম। সেখানে পরিচালক প্রভু দেবা সাইয়ের অভিনয় দেখে খুশি হলেও মন ভরেনি মহেশের। খোলাখুলি জানালেন, নম্বর দিতে বলা হলে সাইকে ১০০-এর𝄹 মধ্যে ৪০ দেবেন তিনি।
বাড়ি ফিরে সাই যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁকে, মেয়েকꦺেও তাঁর সেই মনোভাব জানাতে দু'বার ভাবেননি মহেশ। 'বাস্তব' এর পরিচালকের কথায়, 'সাইকে জিওগ্গেস করেছিলাম হাসোনি কেন অভিনয়ের সঙ্গে? জবাব দিয়েছিল দাঁত দেখতে প্রভু স্যার না করেছিল। শুনে মেয়েকে স্রেফ বলেছিলাম, চোখই একজন অভিনেতার জানলা। সেট💮া ব্যবহার করতে হবে। আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম'। তবে মেয়েকে যে খুব বেশি পরামর্শ দিতে হয় না সেকথাও বললেন তিনি। অভিনেতা-পরিচালকের কথায়, 'সাই এ প্রজন্মের মেয়ে। ওয়ার্ল্ড সিনেমা দেখে। খুব বেশি পরামর্শের এমনিতেও দরকার হবে বলে মনে করি না। আর কোনও অভিনেতাকে যদি অভিনয় নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয় তাহলে তাঁর অভিনয়টাই বড্ড যান্ত্রিক হয়ে যায়'।