সালটা ছিল ২০২২। সেবছরই নিজের স্তন ক🎶্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারেন অভিনেত্র♌ী মহিমা চৌধুরী। তবে এই কঠিন ব্য়াধিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর সেসময় নিজের বাবা-মায়ের কাছে লুকিয়ে গিয়েছিলেন মহিমা। সেসময় অনুপম খেরের জন্য সেকথা জেনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মহিমা চৌধুরী?
মহিমা চৌধুরী বলেন,'যখন আমি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হই তখন মনে হ🐽য়েছিল, কেন এই কথাগুলো ওদের বলব? আমার মাসি, বোন এবং অন্যান্যরা এইবিষয়টি জানত। তবে আমি ওদের বলে দিয়েছিলাম, আমার মাকে বলো না, ওরা যদি ভর্তি হয়ে যায়, তাহলে আমি কার দেখাশোনা করব? লকডাউনে আমার বাবা প্রায়ই চুল কেটে ফেলতেন। তাই আমি বললাম, বাবা এটা লকডাউন, আমিও ন্যাড়া হব। আমার চুল বড়ই উঠে যাচ্ছে। এই ঘটনার ২-৩ দিন পর বাবা আমার নার্সকে একদিন বলেন, ম্যায় ইতনা বুডহা হুঁ, মেরি দাড়ি বাড় গয়ি, ইসকে বাল কিউ নেহি বাড় রহে? (আমার বয়স হয়ে গেছে, এখনও আমার দাড়ি গজাচ্ছে, ওর চুল ফিরে আসছে না কেন?) একথা শুনে আমিও অবাক হয়ে যাই। আমি জানতাম না আমার কিছু একটা আঁচ করছেন। এদিকে বাবা তখন নাক টানছিলেন। নার্সরা অবশ্য পরিস্থিতিটা সামলে নি🌟য়েছিলেন। তবে বাবা বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। আমি আশা করিনি, যে বাবা এমনটা করবেন। কারণ, তিনি বিষয়টি জানতেন না।'
মহিমা আরও 🧸বলেন, 'এরই মাঝে অনুপম আমাকে একটা ছবি করার জন্য ডেকেছিলেন, আমরা একটা ফটোশুট করি। অনুপম আমার সাক্ষাৎকারের একটা ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেছিলেন। ভেবেছিলাম, ছবিটা যখন মুক্তি পাবে তখন বিষয়টা আমি ওদের বলব। তারপরে অনুপম আমার বোনকে এটা দেখান বলেন এটা সত্যিই সুন্দর হয়েছে। পরে তিনি ভিডিয়োটি আপ🔴লোড করেন। এদিকে আমরা যখন রুমে বসে প্যাকআপ করছি, তখন আমার বাবা একটা নোটিফিকেশন পান। তিনি আমার সাক্ষাৎকারটি দেখতে শুরু করে দেন। আমার মেয়ে আমাকে ডেকে বলল, 'মা উনি আপনার জার্নি নিয়ে সাক্ষাৎকারটি দেখছেন। আমি তখন ভাবলাম 'হে ঈশ্বর'! পরে বাবা আমায় বললেন, ‘আমি তোমার পুরো সাক্ষাৎকার দেখেছি। তুমি এখন ভালো আছো, সুস্থ আছো, সেটাও জেনেছি।’
মহিমা চৌধুরীর কাজ
কাজের ক্ষেত্রে মহিমা চৌধুরীকে কঙ্গনা রানাওয়াতের 'ইমার্জেন্সি'তে ꦇদেখা যাবে। ছবিতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ পুপুল জয়করের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহিমা। কঙ্গনা ও মহিমা ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন অনুপম খের, শ্রেয়াস তালপাড়ে, মিলিন্দ সোমান, বিশাক নায়ার এবং প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিক।