২২ জুলাই মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যুদিন। ৩৯ বছর পরেও মহুয়াকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামে না! আশির দশকের গোড়ায় বাংলা ছবির অন্যতম মহিলা সুপারস্টার ছিলেন মহুয়া। সুচিত্রা সেন পরবর্তী যুগে তাঁর উপরই বাজি রেখেছিল প্রযোজকরা। কিন্তু অভিনেত্রীর ‘বেপরোয়া’ জীবন যাপনই কাল হয়েছিল! আরও পড়ুন-আগুনে ঝলসে রহস্যমৃত্যু, মায়ের নাম মুখে আনে না ছেলে! মহুয়ার আদরের 'গো𝓀লা' এখন কোথায়? কেমন দে👍খতে হয়েছে?
মহুয়ার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী ছিলেন রত্না ঘোষাল। মহুয়া তা🌠ঁকে ডাকতেন ‘মাটু’ বলে। মৃত্যুর সময় একমাত্র ছেলে গোলা ওরফে তমালের দায়িত্বও রত্নাকে দিতে চেয়েছিলেন। সেই রত্না ঘোষালের সাম্প্রতিক এক বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। বান্ধবীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বর্ষীয়ান শিল্পী ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মউ মদ খেতে খুব ভালোবাসতো…. গোলাকেও খাওয়াতো। আমি বলতাম, তোরা বাচ্চাটাকে তুই খাওয়াচ্ছিস কেন? বলত, ওর বাবা-মা খায় ও খাবে না? তখন কত বয়স হবে গোলার দু থেকে আড়াই বছর…’।
রত্না ঘোষালের এই মন্তব্যে মনঃক্ষুন্ন হন মহুয়া অনুরাগীরা। এই ঘটনায় চটেছেন প্রযোজক রানা সরকারও। মহুয়ার জীবনীচিত্র তৈরি করছেন প্রযোজক। ছবির নাম ‘গুনগুন করে মহুয়া’। সেই ছবি তৈরির জন্য রত্না ঘোষালেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রানা। অভিনেত্রীও কথা দিয়েছিলেন তিনি সাহায্য করবেন। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর ফেসবুকে রানার ঘোষণা, রত্না ঘোষালের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই 𝓡‘গুনগুন করে মহুয়া’র।
তিনি লেখেন, 'মহুয়া রায়চৌধুরীর জীবনী নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা রত্না ঘোষালের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি সাহায্য করবেন বলেছিলেন। কিন্তু গতকাল বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় শ্রদ্ধেয় রত্না ঘোষাল অনেক গল্প বলেছেন মহুয়া রায়চৌধুরীকে নিয়ে। যার মধ্যে কিছু ঘটনা প্রয়াত অভিনেত্রীর প্রতি অবমাননাকর। যেমন রত্না ঘোষাল বলেছেন মহুয়া রায়চৌধুরী ন𝔍াকি তার দুবছরের ছেলে গোলা-কে মদ খাইয়ে দিতেন। প্রচণ্ড সেন্সিটিভ একটা বিষয় যার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব না। এই ধরনের তথ্য মহুয়া রায়চৌধুরীকে অশ্রদ্ধা করা শুধু নয়, আমাদের সিনেমার উদ্দেশ্যের প্রতিও ক্ষতিকর।
রানা আরও বলেন, 'সত্যিই রত্নাদি আমাকে বলেছিলেন সিনেমাতে নেগেটি♎ভ কিছু যেন না থাকে। থাকলে উনি থাকবেন না আমাদের সিনেমার সঙ্গে। কিন্তু নিজেই এখন নেগেটিভ গল্প বলে দিচ্ছেন মিডিয়ার কাছে। এই পরিস্থিতি অবাঞ্ছ꧋নীয়। রত্না ঘোষাল একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়, গুণী ও সিনিয়র শিল্পী। কিন্তু তার দেওয়া তথ্যগুলো অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে যার সত্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। যেটা জানানো প্রয়োজন যে আমাদের সিনেমাতে রত্না ঘোষালের চরিত্র রাখার প্রয়োজন পড়ছে না। তাই তার বলা কোনো গল্প আমাদের সিনেমাতে থাকবে না। আমরা মহুয়া রায়চৌধুরীকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছি, তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, তার জীবনের বিভিন্ন সত্য ঘটনাও থাকবে।
কিন্তু কারও ꧟মুখে শোনা গল্প যার সত্যতা যাচাই এর সুযোগ নেই, সেই গল্প বলে প্রয়াত মহুয়া রায়চৌধুরী, তার পরিবার ও অসংখ্য গুণমুগ্ধকে নিরাশ করতে পারবো না।'
মহুয়া রায়চৌধুরীকে নিয়ে তাঁর আদরের ‘মাটু’ রত্না এই প্রথম কোনও বিতর্কিত কথা বলেছেন তেমন নয়। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে রত্না ঘোষাল বলেছিলেন, ‘মৌ মদ খাবেই। আর মদ খেলেই ও কেমন পালটে যেত। পুরুষ চাই ꦺতখন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কী যে করত, কꦕী বলত, কোথায় পৌঁছত, তার কণামাত্র মনে থাকত না’।
য𝐆দিও রানার এই সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন রত্না ঘোষাল। তিনি বলেন, ‘আমিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ রানা সরকারের কাছে যাইনি, আমার কাছে নিজেই এসেছিল। আমার কথার যেভাবে ভুল মানে করা হয়েছে, তাতে বলতে পারি রানা একজন গণ্ডমূর্খ, আমি কাউকে ভয় পাই না’।