সঞ্জয় লীলা বনশালির সিরিজ ‘হীরামান্ডি’তে অভিনয়ের জন্য এই মুহূর্তে জন্য চর্চায় রয়েছেন মণীষা কৈরালা। এই ওয়েব সিরিজౠের দৌলতেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মণীষাকে। তবে শুধু ‘হীরামান﷽্ডি’নয়, নিজের জীবনের নানান কথাও শেয়ার করছেন মণীষা। সম্প্রতি এমনই এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে অভিনেত্রীর ক্যানসার-এর মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা।
মণ💛ীষার কথায়, ক্যানসার তাঁর জীবনের অনেকক্ষেত্রেই চোখ খুলে দিয়েছিল। তিনি যাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বর্ধিত পরিবারের সদস্য হিসাবে ভাবতেন, জীবনের এই কঠিন সময় তাঁরা কেউই 𒁃পাশে ছিলেন না, ছিল শুধু বর্তমান পরিবার। NDTV-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই সময়টা তিনি এই রোগের জন্য অনেক থেরাপি ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, যেটা তাঁকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে।
মণীষার কথায়, ‘এটা আমার কাছে একটা যাত্রাপথ ছিল। এই সময়টা অ𒆙নেককিছু শেখার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতাম যে আমার অনেক বন্ধু আছে। যাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে পার্টি করেছি, ঘুরেছি, একসঙ্গে মজা কত করেছি, তাঁরা আমার কষ্টে আমার সঙ্গে থাকবে, এটাই ভেবেছিলাম। তবে তাঁরা ছিল না। মানুষ আসলে কারোর কষ্টের সময় পাশে থাকে না, তখন তাঁকে এক ছেড়ে চলে যায়। মানুষ আসলে কারোর কষ্ট অনুভব করতে চায় না, পালানোর জন্য তখন অজুহাত খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এটাই আসলে মানুষের স্বভাব। তখন নিজেকে খুব একা মনে হয়েছিল। সেসময় বুঝেছিলাম, এই কঠিব পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আমার কাছের মানুষ, একান্ত পরিবারের সদস্যরাই শুধু আমাকে ঘিরে রেখেছিলেন।’
মনীষা আরও ౠজানিয়েছেন, ‘আমারও একটা বড় কৈরালা খান্দান আছে। তবে সেসময় কিন্তু তাঁরা কেউ ছিলেন না। আমার সেই বৃহৎ পরিবারে সকলেই কিন্তু ধনী, তাঁরা এটার ভার বহন করতেই পারতেন, তবে কেউ ছিলেন না। ছিলেন শুধু আমার মা-বাবা, ভাই, আর ভাইয়ের স্ত্রী। শুধু এই ক’জনই ছিলেন। তখন আমি বুঝেছিলাম, সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও শুধু ওরাই আমার সঙ্গে থাকবে। তাই এখন আমার অগ্রাধিকার হল শুধু আমার এই পরিবার, তা সে যাই হোক না কেন। ওরাই আমার জীবনে সবথেকে আগে, বাকি সবাই পরে।'
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মনীষা কৈরালা ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অভিনেত্রী🦩 স্বীকার করেছেন যে সেসময় তাঁর পক্ষে অন্যান্য সময়ের মতো কাজ করা সম্ভব ছিল না। তাঁর কথায়, ‘ক্যান্সার আমার শরীর ও মন সবকিছুকেই প্রভাবিক করেছিল। অনেকটা সময়ই তিনি অবসাদে কাটিয়েছি। সত্যি কথা বলতে কি, আমি যখন হীরামন্ডি করছিলাম, তখন এই অবসাদ আমাকে এতটাই গ্রাস করেছিল যে আমার মেজাজই বদলে যায়... এবং আমি শুধু ওই পর্যায় খেকে পালানোর চেষ্টা ক🍰রছিলাম। সেই বিষয়টা থেকে একবার বের হয়ে গেলে, তখনই তো শরীরের দিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব।’