রবিবার রাতেই খবর এসেছিল মনোজ মিত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সোমবার সকালে হঠাৎই রটে যায় যে মৃত্যু হয়েছে বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি শিল্পীর। আর তারপরই মুখ খুললেন ভাই অমর। জানালেন, ‘অবস্থা সঙ্কটজনক, ত♛বে বেঁ𒁃চে আছেন’।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত একাধিক অসুস্থতায় ভুগছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। রবিবার ফের শারীরিক অবস্থার অবনꦅতি হয়েছিল। বিকেলে অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডি🃏জ, ভারতের অফিসিয়াল এন্ট্রি হিসেবে বেছে নেওয়া হল কিরণ রাওয়ের সিনেমা
তাঁর ভাইকে দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে ফোন করা হয়েছিল সংবাদমাধ🗹্যমের তরফে। তাতে তিনি প্রতিদিনকে জানান, ‘মনোজ মিত্রর মৃত্যুর খবর একেবারেই ভুয়ো। ওঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তিনি এখনও বেঁচে। চিকিৎসকদের কড়া নজরে রয়েছেন।’
রবিবারই🧸 বর্ষীয়ান অভিনেতার অসুস্থতা ও তাঁর হাসপাতালে ভর্তির খবর নিশ্চিত করেছেন মেয়ে ময়ূরী মিত্র। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর বাবা খুবই অসুস্থ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা মাও অসুস্থ, উনি ডিমেনশিয়ার রোগী, কথা বলতে পারেন না। তাঁর কাকাও মাত্র ২০দিন আগেই মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে তাঁরা যাচ্ছে তাঁর পরিবার। সঙ্গে অভিনেতা-কন্যা বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর বাবার হার্ট এক্কেবারেই কাজ করছে না।
আরও পড়ুন: মা-শাশুড়ির মধ্যে তফাত করেন না! ছেলের জন🉐্মদিনꩵে পরিবারকে আগলে শুভশ্রী, রইল ভিডিয়ো
এদিকে, চলতি বছরে🌃র শুরুতেই বুকে প্রেসমেকার বসেছিল মনোজ মিত্রের। তারপর অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন তিনি। নাটকের মঞ্চে পরিচিত মুখ মনোজ তো ছিলেনই, সঙ্গে সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, শক্তি সামন্ত, গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকদের পরিচালনায় সিনেমাতেও কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: আরজি করের প্রতিবাদ আলকাতরা দি🍷য়ে মুছছে শাসক! ফের আ♒ঁকছে কলকাতা, ভিডিও দিল লগ্নজিতা
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখে ব্রিটিশ ভারতের অবিভ🎐ক্ত বাংলায় সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। পরে কলকাতায় এসে স্কটিশচার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। তিনি ১৯৫৭ সালে কলকা﷽তায় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে বিভিন্ন কলেজে দর্শন বিষয়েও শিক্ষকতা করেন।