‘জীবনে প্রতি💝জ্ঞা করেছিলাম বিজ্ঞাপনে গান গাইব না… লোহালক্কড়, চানাচুর, আইসক্রিম, সাবান, এসবের গান গাইব না’। সম্প্রতি এক সাক্ষা꧋ৎকারে নিজের সঙ্গীত জীবনের এই আদর্শের কথা জানিয়েছেন গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে।
মনোময়ের মন্তব্যে কৌলিন্যের বার্তা লুকিয়ে রয়েছে, এমনটাই দাবি অনেকের। নিজের সঙ্গীত জীবনের আদর্শের কথা বলতে গিয়ে কোথাউ অন্য শিল্পীদের অপমান করেছেন মনোময়, এমনটাই মত নেটপাড়ার। গায়কের এই মন্তব্য়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই, অন্যদিকে মনোময়ের মুখে একথ♒া শুনে আহত বাংলার ‘জিঙ্গল কুইন’ জোজো। নব্বইয়ের দশকে একাধিক হিট বিজ্ঞাপনে জিঙ্গল গেয়েছেন জোজো। তাই মনোময়ের বক্তব্য়ের সরাসরি বিরোধিতা করলেন তিনি।
আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোজো বলেন, ‘বি🅰জ্ঞাপনের গান গাওয়া খুব কঠিন কাজ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দর্শকের কাছে ক্লিক করতে না পারলে আপনি ব্যর্থ। জিঙ্গল গাওয়া অপরাধ নয়, সেটা চানাচুর হোক আর সাবানের’। জোজো স্পষ্ট জানান, মনোময় ভট্টাচার্যের মতো গুণী শিল্পীর কাছ থেকে এ ধরণের বক্তব্য তিনি আশা করেননি। গান নিয়ে কোনও বাছ-বিচার কখনও করেননি তিনি জানান শিল্পী। জোজোর কথায়, আইটেম গান গাইবার ক্ষেত্রে অনেকেই স্বচ্ছন্দ নন তবে তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে দিয়েছে সেই গানগুলিই।
শুধু জোজোই নয়, বেস গিটারিস্ট কিংশুক বর্মন(গুবলু) মনোময়ের কড়া সমালোচনা করে লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনে গাইতে লাগে দক্ষতা।কটা অফার এসেছিল ওনার কাছে….অন্যদের অপমান করার অধিকার ওনাকে কে দিয়েছে?’ কিংশুকের পোস্টেও সমর্থন জানিয়েছেন জোজো-সহ সঙ্গীত জগতের অনেকেই। সেখানে জোজো লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ পেলাম মনোময়দার মুখে একথা শুনে… আসলে আমি কী গাইব সেটা আমার চয়েস কিন্তু পেশাদার ক্ষেত্রে প্লে-ব্যাক করার সময় সবসময় চুজি হলে চলে না। আর জিঙ্গল গাওয়া তো ছবিতে গান গাওয়ার চেয়ে কম কঠিন কাজ নয়। ….. অন্যের কাজকে ছোট করার অধিকাꦅর কারুর নেই।’
ক্লাসের (Class) জন্য গান করেন মনোময়, মাসের (Mass) জন্য় নয়। এমন কথাও ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন গায়ক। এই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে গানের জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকা জোজো জানান, ‘আমাকে আবার সাধারণ জনগণ (মাস) বাঁচিয়ে রেখেছেন। …..ক্লাস ও মাস দুইয়ের পছন্দের জন্য এক জন 💞শিল্পীর সঙ্গীতজীবন দীর্ঘ হয়’।
এই বিতর্ক নিয়ে মনোময়ের পালটা যুক্তি তিনি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত দিতে চাননি, নিজের ♏পছন্দ-অপছন্দের💦 কথা জানিয়েছেন মাত্র। এই বিষয় নিয়ে জোজোর সঙ্গেও কথা হয়েছে মনোময়ের। তবুও জোজার সাফ কথায়, ‘মনোময় দা–র একজন গুণী শিল্পীর এভাবে বলাটা আমার খুব খারাপ লেগেছে। বিষয়টাকে হয়তো অন্যভাবে বলা যেতে পারতো।’