ঋতুপর্ণ ঘোষ সঞ্চালিত অনুষ্ঠান ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’-র সেই বিষ্ফোরক এপিসোড ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু 🎃ঋতুপর্ণ নয়, সেদিন সেই এপিসোডের পর মীরকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সকলে। তবে, তাতে আলোবাসা কমেনি দু'জনের। বরং, এখনও মীর আফসার আলির কাছে ঋতুপর্ণ ঘোষ ‘বড় দাদা’র মতো। ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুর পর এই অভিনেতা ও রেডিও জকির কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল ঋতুপর্ণের প্রশংসা। আজ, ফের একবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়🍸ায় সে সাক্ষাৎকারের ঝলক শেয়ার করলেন তিনি।
বিভিন্ন শো’য়ে ঋতুপর্ণ ঘোষের নকল করা নিয💖়েই আপত্তি প্রকাশ করা থেকেই শুরু হয় ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’-র বিতর্কিত এপিসোডটি। দু'জনের মধ্যে দেড় বছর যোগাযোগ বন্ধ ছিল। মীর জানিয়েছিলেন, ‘ঋতুদা বলেছিলেন, আমি ওঁকে ভেঙিয়ে, আসলে একটা গোটা কমিউনিটিকে আঘাত দিচ্ছি৷ গে কমিনিউটিকে৷ এটা আমি মানতে পারিনি৷’ তারপর মীরাক্কেলের একটা এপিসোডে অতিথি হিসেবে আসেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। গলে যায় তাঁদের সম্পর্কের বরফ।
মীর আর ঋতুপর্ণের প্রথম দেখা নিয়েও কথা বলেন মীর। জানান, ‘ঋতুদা-র সঙ্গে প্রথম আলাপ তার বাড়িতেই। মাথায় তখন ঝাঁকড়া চুল। প্রথম আলাপেই ঋতুদা আন্তরিকতার সঙ্গে আপন করে নিয়েছিলেন আমাকে। আসলে নতুন প্রতিভাদ༺ের আপন করে নেওয়া – এই বিষয়টাতে ঋতুদার জুড়ি মেলা ভার।’
কথা প্রসঙ্গে মীর জানান, অনেকেই মনে করেন সত্যজিৎ রায়ের ছবি থেকে প্রভাবিত হয়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ সিনেমা বানাতেন। মীর তাঁদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘প্রতিটা মানুষই অল্প বিস্তর কারুর না কারুর থেকে প্রভাবিত হন। কিন্তু সেই প্রভাবে আটকে না থেকে, নিজের একটা ঘরানা সৃষ্টি করতে ঋতুপর্ণ ঘোষই শিখিয়েছিলেন’। অপর্ণা সেন ও ঋতুপর্ণকে নিয়ে একটি মজার ঘটনাও শেয়ার করেন এই কৌতূকাভিনেতা। অপর্ণা সেন একবার নাকি ঠাট্টার ছলে ঋতুপর্ণ ঘোষকে বলেছিলেন ‘তুই তো মানিক কাকুকে (সত্যজিৎ রায়) টুকেছিস’। সেই কথার জবাবও বেশ মিষ্টি করেই দিয়েছিলেন ঋতুপ🎃র্ণ। বলেছ꧃িলেন, ‘ছেলেদের বাবার মতোই দেখতে হয়’। মীর জানান, ঋতুপর্ণের এই জবাব আপ্লুত করেছিল তাঁকে।
ঋতুপর্ণ💝 ঘোষের লিঙ্গ নিয়ে হাজারও বিতর্ক ছিল সেই সময়। এমন🤡কী, সেই বিতর্কে যে মীরও জড়িয়ে গিয়েছিলেন তা আজ সবারই জানা। কিন্তু মীর মনে করেন, ‘ঋতুপর্ণ ঘোষ নারী নাকি পুরুষ, সেটা বিচার করার একমাত্র অধিকার তাঁর। মানুষের পরিচিতি তাঁর চেহারায় নয়, গুণের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। সামনের জন্মে যদি তাঁকে পাই, তাহলে ঋতুদাকে যেন ঋতুদার মতো করেই পাই।’
সবশেষে মীর জানান, ‘🐓ঋতুপর্ণকে বোঝার জন্য আরও কয়েকটা ঋতুর দরকার ছিল। কিন্তু সে সুয়োগ না দিয়ে নিজেই চলে গেলেন। ঋতু বদলাক, কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং তাঁর প্রতিভা কোনদিনও বদলাবে না।’