২০২৪-এ ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতেছেন মধ্যপ্রদেশের নিকিতা পোরওয়াল। ২০২৫ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ৭২তম আসরে দেশের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। আর মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জেতার পরপরই লিঙ্গ বৈষম্য়, নারী-পুরুষ বিভাজন নিয়ে মুখ খুলেছেন নিকিতা। ভারত সুন্দরীর অকপট স্বীকারোক্তি নারী-পুরুষ বিভাজন তাঁর 💞পরিবারেও রয়েছে।
নিকিতা সম্প্রতি এক সক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি উজ্জয়িনীর অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার জন্মের সময় নারীবাদ (feminism), নারীর ক্ষমতায়ন (women empowerment) এবং ন্যায়বিচারের (justice) মতো আধুনিক শব্দগুলি সম্পর্কে আমার বাবা-মা ভালোভাবে অবগতও ছিলেন না। তবে আমি সবসময় খেয়াল করেছি যে ওঁরা (বাবা-মা) আমার সঙ্গে কখনও বৈষম্যমূলক ಞআচরণ করেননি।’
নিকিতার কথায়, ‘আমার আগে আমার বড় দিদি ও দাদা রয়েছে। আমি যখন মায়ের গর্ভে তখন 🐓পরিবারের সকলে চেয়েছিল যেন ছেলে হয়। কারণ, একই পরিবারে দুই মেয়ে থাকার থেকে দুই ছেলে থাকাই ভালো বলে তাঁরা মনে করতেন। তবে যখন আমি হলাম, তখন আমার বাবা-কাকা, দাদু এটাকে একটা জয়ের মতোই সেলিব্রেট করেছিলেন। এমন🦋কি যেটা তাঁরা আমার ভাইয়ের জন্মের সময়ও করেননি।’ নিকিতা বলেন, ‘আমার ঋতুস্রাবের সময় রান্নাঘরে ঢোকার অনুমতি ছিল না, তবে সেসময় আমার দাদুই খাবার পরিবেশন করতেন।’
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যেই মালকিনকে অপমান,🌜 অঙ্কুশ ঠোঁট বাড়াতেই কামড়েই দিল নাকি মিমির কুকুর?
আরও পড়ুন-লক্ষ্মীপ্রতিমার কানে কানে কথা, নাচের স্কুলে দেবীবরণের ভিডি🤪য়ো দিলেন দেবলীনা কুমার
স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে মিস ইন্ডিয়া বলেন, 'আমার দাদু আমাকে খাইয়ে দিতেন। যখন স্কুল থেকে ফিরতাম তখন আমার বাবা আমার পা ম্যাসাজ করে জিতেন। আর তাই আমার ভাই আমার সঙ্গে সবসময় ঝগড়া করত। সেই দিনগুলিতে ও খুব সহানুভূতিশীল হয়ে যেত।ও ...
নিকিতার কথায়, ‘আমি আমার পরিবারে ভালবাসা নিয়েF🍬 বড় হয়েছি। আর এই ভালোবাসা আমাকে এমন একজন ব্যক্তি করে তুলেছে যে বিশ্বাস করে, ভালবাসা এমন জিনিস যা সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। আচার-অনুষ্ঠান ও মূল্যবোধ একে অপরের সঙ্গে না মিললেও ভালোবাসা সবকিছুকে সমান করে দিতে পারে। বাবা-মা সবসময়ই আমার পাশে ছিল।’
ভারত সুন্দরীর কথায়, ‘আজ আমার কাছে এই প্রতিযোগীতা জয়ের শিরোপ🀅া আছে। তবে আমি যখন কিছুই ছিলাম না, সেসময় আমার বাবা-মা সাধারণ এই মেয়েটিকে নিয়েই গর্বিত ছিল এবং এখনও ওঁরা গর্বিত। আমি সবসময়ই চাইতাম ওঁদের কোনও না কোনওভাবে ওদের অবদান ফিরিয়ে দিতে। আমি উজ্জয🐽়িনীর মতো সাধারণ শহর থেকে উঠে আসা এক মেয়ে। সেখান থেকে মুম্বই এসে স্বপ্নপূরণ সহজ ছিল না। বাবা-মা পরিবার একসময় আমার জন্য অনেক কথা শুনেছেন, সকলে তাঁদের বলেছেন, আমার অন্য কোনও পেশা বেছে নেওয়া উচিত ছিল, তবে তাঁরা সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার রাজ্যে গত ৬০ বছরে কখনও ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া হয়নি। আমি মধ্যপ্রদেশের নামটি শুনতে চেয়েছিলাম। এই প্রথম উজ্জয়িনীর কেউ মিস ইন্ডিয়ায় অংশ নিলেন।’
আরও ꦜপড়ুন-‘ফেলে আসা দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে…’, মুম্বইয়ে সেই পুরনো দিনের স্মৃতিতে বিভোর নীলাঞ্জনা, চিনতে পারছেন?