মঙ্গলবার না ফেরার দেশে হঠাৎই পাড়ি জমিয়েছেন ভরত দেববর্মা। জানা গিয়েছে, কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্টেই প্রাণ হℱারিয়েছেন তিনি। সেই সময় মুনমুন ও রাইমা ছিলেন দিল্লিতে। যদিও বাবার কাছেই ছিলেন রিয়া। এদিন শেষকৃত্যের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় পরিবার। দেখা যায়, কান্নাকাটির ফলে চোখমুখ ফোলা সকলের। কথা বলার মতো অবস্থাতেও নেই।
রাইমাকে বেশ দুঃখ করই বলতে শোনা গেল, ‘শেষ সময়ে বাবার সঙ্গে থাকতে পারলাম না। খুব মিস করব’। অন্যদিকে, মুনমুন জানান, ‘যে আমাদের চালাত,🌱 সেই চলে গেল। এখন থেকে আমাদের জীবনটাই বদলে গেল’। এরপর তাঁরা একটু সময় চেনে নেন সংবাদমাধ্যমের থেকে।🐟 জানান, এখন কথা বলার মতো অবস্থাতে নেই কেউই।
আরও পড়ুন: হিন্দু থেকে মুসলিম হন রহমান! মা-বাবার ডিভোর্সের খবরে এবার মুখ খু🍌ললেন ছেলে-মেয়ে
মঙ্গলবার বালিগঞ্জের বাড়িতে ছিল সাংবাদিকদের ভিড়। দিল্লি থেকে ফিরে দেখা যায় একবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আ🍌সেন মুনমুন। তবে সেই সময় হট্টগোল শুরু হলে, কিছুটা বিরক্ত হয়ে যান, কথা না বল𝔉েই ফিরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ের শপিং, প্ꦆরণামী…’! কবে যাচ্ছেন রুবেলের সঙ্গে ছাদনতলায়, মুখ খুললেন শ্বেতা
১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুনমুন সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ত্রিপুরার রাজপরিবারের ছেলে ভরত দেব বর্মার। দীর্ঘ ৪৫ বছরের সুখী দাম্পত্য। এ𒈔কাধিক পারিবারিক ছবিতে দেখা যেত সুচিত্রা থেকে শুরু করে মুনমুন, পরিবারের মেয়েদের কার্যত𒐪 আগলে রাখতেন তিনি। আর দুই মেয়ে তো ছিল নয়নের মণি। বহুবার সুখী দাম্পত্যের গোপন রহস্য হিসাবে সুচিত্রা কন্যা জানিয়েছিলেন, সবার আগে স্বামীকে সবথেকে ভালো বন্ধু ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: স্টারকিডদের সহ্য করতে পারেন না! তবে শাহরুখ খ🃏ান-পুত্র আরিয়া𝓰নকে নিয়ে ভিন্ন মত কঙ্গনার, কী লিখলেন?
ভরত দেববর্মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্🉐রী যখন আসেন, তখনও কলকাতায়✅ ফেরেননি রাইমা ও মুনমুন। পরে ফের সন্ধ্যারাতের দিকে আসেন তিনি। এছাড়াও এসেছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ঊষা উত্থুপ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তরা। এসেছিলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মাও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিডিয়ার উদ্দেশে মঙ্গলবার বলতে শোনা যায়, ‘ভরত আমাদের খুব ভালোবাসত। ভীষণ ভালো মানুষ ছিলেন। এটা খুব বড় ক্ষতি। ওরা বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমার একজন শুভ🐟াকাঙ্খীকে হারালাম। আত্মীয়কে হারালাম।’