আশির দশকের বলিউডে উল্কা গতিতে তাঁর উত্থান। পরপর হিন্দি ছবিতে কম্পোজ করা সুর থেকে তাঁর গানে বুঁদ হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। সেই বাপ্পি লাহিড়ি নাকি হারিয়েছেন গলার স্বর। বলতে পারছেন না কথা! জোর গুঞ্জন ছিল বলিউডে। একটি মহল থেকে সেরকমই দাবি করা হচ্ছিল। একসময় মিঠুন চক্রবর্তীর ছবিতে বাপ্পির সুর এবং নায়কের লিপে বাপ্পির গান প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল। প্রচুর সুপারহিট সব ছবিতে তাঁর করা সুর ও গাওয়া গান আজও টাটকা ছবিপ্রেমী দর্শকদের মনে। বছর কয়েক আগে 'দ্য ডার্টি পিকচার', 'গুন্ডে' ছবিতে গাওয়া তাঁর গানে নেচে উঠেছিল দর্শক। সেই বাপ্পিদা নাকি আর গাইতে পারবেন না গান? এমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল꧂ বিཧ-টাউনে।
কয়েক মাস আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সংগীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। এরপর কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেও শরীর আর সম্পূর্ণ ঠিক হয়নি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁকে দেখতেও গিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব। জানা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গেও নাকি কোনও কথা বলেননি বাপ্পি। কিংবা বলা ভালো বলে উঠতে পারেননি। ওই অতিথিদের মধ্যꦜে কেউ কেউ জানিয়েছেন শরীর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এই বর্ষীয়ান সুরকারের।
বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে কয়েক মাস আগেই লস অ্যাঞ্জেলস থেকে দেশে ফিরেছেন ছেলে বাপ্পা। তারপর আর মার্কিন মুলুকে ফিরে যাননি। বাবার খেয়াল রাখছেন। অবশ্য, বাপ্পির পরিবার ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের খবর বর্ষীয়ান সুরকার-গায়ক এখন হুইলচেয়ারে করেই বাড়ির ভিতর নড়চড়া করেন। মিড-ডে'কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বাপ্পা জানিয়েছেন, ‘কোভিডের পাশাপাশি বাবার ফুসফুসেরও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাবাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। সেই কারণেই এমন গুজব রটেছে যে বাবা কন্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু মনের জোর ধরে রেখেছেন তিনি’। বাপ্পা আরও জানান, দুর্গাপুজোর আগে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে একটি পুজোর গানও রেকর্ড করতে আগ্𒊎রহী বাপ্পি লাহিড়ি।
বর্ষীয়ান সুরকার-গায়কের হাঁটুর সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বাপ্পা বলেন, চিকিত্সরা হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে বলেছℱেন, তবে তাঁদের কোনও তাড়া নেই। ছেলের আশা ভবিষ্যতে আবার হেঁটেচলে স্বাভাবিক সুস্থ জীবনে ফিরবেন তাঁর বাবা।