গত বছর থেকেই একেবারে সময়টা ভালো য♛াচ্ছে না বিনোদন জগতের। রীতিমতো ধুঁকছে। বেশিরভাগ কাজ হয় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে নয়তো খুব সামান্য আয়োজন,উপকরণ নিয়ে শুরু হয়েছে। তাও শুরু হওয়া সেই কাজের গতি,লয় অত্যন্ত ঢিমে। বেশিরভাগ সিনেমা বাক্সবন্দি হয়ে পরে রয়েছে। কারণ সিনেমা হল খোলার অনুমতি এখনও মেলেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবে নতুন ছবির কাজও শুরু হচ্ছে অত্যন্ত মেপেজুপে। ফলে কাজ পাচ্ছেন না বহু অভিনেতা, কলাকুশলীরা।
ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও ছবিটা প্রায় এক। কড়া নিয়মের বেড়াজাল সেখানেও। হাতে গোনা কয়েকজন কলাকুশলী এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে শুটিং সারতে হচ্ছে বাংলা ধারাবাহিকের। ফলে অনেক চরিত্রের প্রয়ꦏোজন ফুরিয়েছে৷ তাই অনেক কলাকুশলীর কাজ পাচ্ছেন না, অনেকের কাজ চলেও গিয়েছে৷ এককথায় রোজগার বন্ধ। এহেন প꧂রিস্থিতিতে শিল্পীদের যে মন ভালো থাকবে না সেকথা বলাই বাহুল্য। সেই কথাই এবার নিজের ফেসবুক পেজে সোচ্চারে প্রকাশ করলেন টলিপাড়ার অতি পরিচিত মুখ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়।
এই লকডাউনে ও তার ফলে তৈরি হওয়া এই কঠিন পরিস্থিতির দরুণ নিজের এবং তাঁর টলিপাড়ার অধিকাংশ সহকর্মীরা যে আর্থিকভাবে দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তারই ছবি তুলে ধরলেন বাংলা ছবির এই 'ভিলেন'। গত তিন দশকের ওপর বাংলা ছবিতে অভিনয় করে আসছেন সুমিত। অধিকাংশ ছবিতেই তাঁকে দেখা যায় খলনায়ক, নিষ্ঠুর গুন্ডার চরিত্রে। এবার ফেসবুকের একটি পোস্টে শিল্পীদের দুর্দশা জানিয়ে নিজের 𓄧ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সুমিত লিখেছেন, যাঁরা মানুষের মনোরঞ্জন করেন তাঁদের মনের খোঁজই কেউ রাখেন না। শিল্পীদের দৈন্যদশা থেকে শুরু করে হরেকরকম বাধ্য বাধকতার কথাই উঠে এসেছে তাঁর লেখা এই পোস্টে।
কাজ নেই তাঁরও। ফলে রোজগারও বন্ধ। দিন গুজরান করতে একাধিক অসিবিধের মুখে পড়তে হচ্ছে এই টলিপাড়ার অভিনেতাকে। তবে শুধুমাত্র নিজের কষ্টের কথাই তুলে ধরেননি এই 'খলনায়ক'. শিল্পীদের দুঃখের কথা জানিয়ে এই 🔥অসময়ে এই সব শিল্পীদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়৷ সঙ্গে গোটা গোটা কথায় সোজাসাপ্টা জানিয়েছেন,'আমাদের পি এফ, পেনশন কিছু নেই। পেটে খাবার থাক না থাক হাসিমুখে সেজে গুজে থাকতে হয়, জাস্ট জীবিকার নিয়মে।মুখে কেউ কিছু বলছি না। কিন্তু আমরা আর কতদিন টানতে পারব জানিনা!
এরমধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। এহেন পরিস্থিতিতে শিল্পীদের পাশে থাকার ꦯআর্তি জানানোর পাশাপাশি তাঁর প্রার্থনা সব জীবিকার মানুষের সুসময়ই যেন দ্রুত ফিরে আসে।