নিখিল জৈনর সঙ্গে বিচ্ছেদ এর🐻 পরপরই নুসরত জাহানের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। সরাসরি সেই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেছিলেন নিখিল। নুসরতও সেইসময় তাঁর গর্ভজাত সন꧃্তানের পিতৃত্বের পরিচয় ফাঁস করেননি। নিন্দুক ও সমালোচকের দল সাংসদ-অভিনেত্রীর 'বহুগামিতা' নিয়ে তুলেছিল প্রশ্ন। তীব্র কটাক্ষ থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণের তীর ক্রমাগত উড়ে এসেছিল নুসরতের দিকে। সেইসময় তসলিমা নাসরিনকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি। নুসরতের সমালোচকদের উদ্দেশে তোপ দেগে তসলিমা প্রশ্ন উঠিয়েছিলেন, 'কই পুরুষদের বহুগামিতা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলে না!
বৃহস্পতিবার মা হয়েছেন নুসরত। জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তানের। এদিনও নুসরতকে সোশ্যাল মিডিয়ায়ে একেবারে নিজস্ব ভঙ্গিমা🐈য় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তসলিমা।বলেছেন কেরিয়ারের তুঙ্গে সন্তানের পিতৃ পরিচয় লুকিয়ে তাঁকে জন্ম দেওয়াটা কুর্ণিশের যোগ্য। স্পষ্ট কথায় ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, নুসরতের বাচ্চা কার ঔরসজাত তা মোটেই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়। নুসরতের বাচ্চা নিতে ইচ্ছে করছে, সে নিচ্ছে। গর্ভে যে ধারণ করে, বাচ্চা মূলত তার।
আরও লিখেছেন, উইশ টুইশে কিছু হয় না। দোয়া আশীর্বাদ এ🗹গুলো কথার সৌন্দর্য। নুসরত প্রতিষ্ঠিত মেয়ে। কারো দাসিবাঁদি নয়। নিজের ইচ্ছের মূল্য দিতে জান♍ে। সপাটে বললেন, ' আমার বিশ্বাস সন্তানকে ভাল মানুষ করবে নুসরত।' পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ‘সিঙ্গল মাদার’ হওয়াটা যথেষ্ট সাহসের ব্যাপার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক স্বাধীনচেতা নারীর মা হওয়ার সিদ্ধান্তে নিজের সায় জানিয়েছেন তসলিমা।
আগেও এ প্রসঙ্গে তসলিমা বলেছিলেন যে কেউ যদি স্বনির্ভর হয় সঙ্গে যথেষ্ট 🍬পরিমাণে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে যেকোনও নারীই পুরুষের মুখাপেক্ষী না হয়েও সন্তান মানুষ করতে পারে।