বাগদান꧙ হয়ে গিয়েছে, এবার সাতপাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরে সেপ্টেম্বর থ𝔉েকে নভেম্বরের মধ্যেই বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে পরিণীতি ও রাঘবের। কিন্তু কোথায় হবে রাঘব-পরিণীতির বিয়ের অনুষ্ঠান? দেশে নাকি বিদেশে?
জানা যাচ্ছে, বিয়ের বিষয়ে প্রিয় মিমি দিদির প✃থেই নাকি হাঁটতে চলেছেন পরিণীতি। জোর খবর, বিয়ের জন্য রাজস্থানকে বেছে নিতে চলেছেন তাঁরা। সঠিক অনুষ্ঠানস্থল খুঁজে বের করতে শনিবারই রাজস্থানের উদয়পুরে উড়ে গিয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। পরে রাজস্থানে পৌঁছোন রাঘব চাড্ডাও। এই মুহূর্তে তাঁরা রয়েছেন কিষাণগড়ে। জয়পুরে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
জানা যাচ্ছে প্রথমে পরিণীতি গিয়েছিলেন উদয়পুরের উদয়ভিলাতে, সেখানে তিনি তা🎀ঁর কিছু আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। সেখান থেকে তিনি যান লীলা প্রাসাদে। সেখানে পিচোলা হ্রদে ভিজতে নৌকাতেও চড়েছিলেন পরিণীতি। সঠিক স্থান বেছে নিতে ভালো করে দেখে বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে চান তাঁরা। জানা যাচ্ছে, উদয়পুরের পর্যটন বিভাগের উপ-পরিচালক শিখা সাক্সেনার সঙ্গেও দেখা করেন পরিণীতি।
এবিষয়ে শিখা সাক্সেনা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমি বিমানবন্দরে পরিণীতির সঙ্গে দেখা করি, যেখানে আমদের প্রায় ২০ মিনিট এল কথোপকথন হয়, পরে আমরা ওঁর সঙ্গেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে যাই। উনি অবশ্য সরাসরি বিয়ের বিষয়ে কথা বলেননি, তবে যা🌜 বলছিলেন তাতে সেটারই ইঙ্গিত দেয়।’
শিখা সাক্সেনা আরও বলেন, ‘উনি(পরিণীতি উদয🅷়পুরের আবহাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছিলেন, কখন বর্ষা শুরু হয় এবং শীত কখন শুরু হয়। উনি সেপ্টেম্বরের কথাই ভাবছিলেন। আমি ওঁকে বলি এখানে দেরিতে বর্ষা হয়, হয়ত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। উনি তখনই ওঁর সহকারীর দিতে তাকান, তিনি সব তথ্য নোট করে নেন। আবার উনি নভেম্বরের কথাও ভাবছেন। আমরাই ওঁকে নভেম্বরের কথা বলি, তবে ওই সময়টা আবার ভীষণ ঠাণ্ডা থাকে বলে উনি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত রয়েছেন। শুনে মনে হল উনি চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেননি, পরিকল্পনা চলছে।’ শিখা সাক্সেনার কথায়, 'অতিথিরা কোথায় থাকবেন, অনুষ্ঠান ছাড়া বাকি সময়টা কীভাবে কাটাবেন, সব বিষয়েই অভিনেত্রী ভাবছেন। পরিণীতি চান পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য থাকবে এমন কোনও জায়গায় অতিথিদের রাখতে, সেখানে গোলাপের পাপড়ি ও গানের মধ্যে দিয়ে অতিথিদের স্বাগত জানানো হবে। এদিকে এরই মধ্যে কিছু নামী হোটেল ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে ওদের তদবির করার চেষ্টা করছেন, এমনকি তাঁরা বিনামূল্যেও বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতে প্রস্তুত। তবে এসবই চলছে ব্যবসার জন্য। তবে সব শুনে মনে হস ওঁরা উদয়পুরকেই বেশি পছন্দ করছেন।