পাঠানের ‘বেশরম রং’ গানে দীপিকা পাড়ুকোনের পরে থাকা গেরুয়া রঙের বিকিনি নিয়ে জ্বলেছিল বিতর্কের আগুন। উঠেছিল ছবি বয়কটের ডাক। একাংশের দাবি ছিল, হিন্দুদের ‘পবিত্র রং’ গেরুয়া বিকিনি পরিয়ে দীপিকার ‘অশ্লীল’ নাচ ও পিছনে সবুজ জামায় শাহর𒐪ুখের অন্তরঙ্গ হওয়া, গানের নাম ‘বেশরম রং’ রাখা আসলে হিন্দু অবমাননা। পাঠান বয়কটের ডাকে সামিল হয়েছিল দেশের শাসক দল বিজেপির মন্ত্রী-নেতারাও।
আর সেই কারণেই বিতর্কের ছিটেফোঁটা রাখেননি নির্মাতারা পাঠান-এর ট্রেলারে। গেরুয়া বিকিনির কোনও দৃশ্যই ♒নেই। নেই দীপিকার ছোট পোশাক। 🉐অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন বিতর্ক এতে কমবে। কিন্তু পরিস্থিতি যে অত সহজে ঠান্ডা হবে না তা বুঝিয়ে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হুমকি। শুক্রবার তাঁদের পক্ষ থেকে হুমকি এসেছে যদি তাঁদের নেতাদের ছবিটি দেখানো না হয় তবে এটিকে গুজরাটে মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না।
গুজরাট ভিএইচপি-র মুখপাত্র হিতন্দ্রসিংহ রাজপুত সাফ জানিয়েছেন, ‘আমরা এই সিনেমাকে গুজরাটে মুক্তি পেতে দেব না। আমাদের ছবিটা দেখার কোনও উৎসাহ নেই। কিন্তু নির্মাতারা যদি চান গুজরাটে সিনেমাটা আসুক তাহলে আমাদেরকে তা আগে দেখাতে হবে। হিন্দু ধর্মের নেতারা তা আগে দেখবে ও তারপর সিদ্ধান্ত নেবে এটা আদৌ এখানে মুক্তির যোগ্য কি না!’ তিনি আরও জানান, তাঁদের পক্ষে এরমধ্যেই গুজরাটের হল মালিকদের সঙ্গে দেখা করে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নির্মাতাদের কাছে নির্দেশ যেন অবিলম্বে ‘আপত্তিকর অংশ’ সরিয়ে ফেলা হয়। আরও পড়ুন: পাঠান-এ শাহরুখ উড়েছে আকাশে, 𒉰বাবাকে ওভাবে দেখে 💃কী বলেছে খুদে আব্রাম?
🀅ইতিমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা আহমেদাবাদের বস্ত্রাপুর এলাকায় অবস্থিত একটি শপিং মলের মাল্টিপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে। ও সেখানে থাকা পাঠানের পোস্টার ও হোর্ডিং ছিঁড়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা ক্রমাগত জ🤪য় শ্রী রাম স্লোগান দিচ্ছিল। এক বিক্ষোভকারীর হাতে একটি গদাও দেখা গিয়েছিল।
পাঠানে দীপিকা-শাহরুখের সঙ্গে দেখা মিলবে জন আব্রাহামেরও। ১০ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে ট্রেলার। যেখানে দেখা যাচ্ছে জনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদল ভারতে হামলা করলে ডাক পড়বে শাহরুখ খানের। যে একজন গুপ্তচর। যে দেশের জন্য জীবন দিতেও পারে আর নিতেও পারে। আর দীপিকা এই মিশনে শাহরুখের সঙ্গী। ট্রেলারের শেষ দিকে✨ এসে কিং খানের মুখের কড়কড়ে সংলাপ ‘এক সৈন্য কখনও প্রশ্ন করে না দেশ তাঁর জন্য কী করেছে, শুধু জিজ্ঞেস করে, সে দেশের জন্য কী করতে পারবে? জয় হিন্দ’ তো রীতিমতো ভাইরাল।