প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর। প্রসঙ্গত, সমীরের নেতৃত্বেই রেড চালানো হয় ওই প্রমোদরীতে। আর যাতে আটক হন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা-সহ ৭ জন। আরিয়ান মামলার অন্যতম সাক্ষী কেপি গোসাভি-র বডি গার্ড হিসেবে নিজেকে দাবি করেছেন সেইল। সঙ্গে অভিযোগ করেছেন, তাঁর কানে আসে কেপি গোসাভির কথা, যেখানে সে আরিয়ান মামলায় ১৮ কোটি ঘুষ নেওয়ার কথা বলছিলেন। যার একটা বড় ভাগ যাবে সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে। এনসিবি-র ঘুষ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর দিল্লি ভিজিলেন্স টিমের উপর। এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর (নর্দান রিজিয়ান) জ্ঞানেশ্বর সিং সোমবারই মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছন। আর প্রথম দফা জেরার জন্য সেইল এনসিবির অফিসে পৌঁছন সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ। সেই ম্যারাথন জেরা চলে রাত ২টো অবধি। আজ আবার এনসিবি-র দফতরে আসার জন্য সমন ধরানো হয়েছে সেইলকে। সোমবার নিজের আইনজীবীকে নিয়ে এনসিবির দফতরে হাজির হন প্রভাকর সেইল। তাঁর আইনজীবী পরবর্তীতে জানান, ‘আমরা এনসিবির ভিজিলেন্স টিমের কাছে সমীর ওয়াংখেড়ের নাম দিয়েছি। তবে শুধু সমীর নয়, এনসিবির আরও অনেকে এর সাথে যুক্ত আছে।’এনসিবির এক সূত্রের মতে এনসিবির জেরায় নিজের বক্তব্য আরও খোলসা করে বলেছেন সেইল, ‘আমরা যারা ঘুষ নিয়েছে আর ঘুষ দিয়েছে, সবার নামই এনসিবিকে জানিয়েছি। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি যাতে এই মামলায় এখনই এফআইআর দায়ের করা হয়। এটা একটা ট্র্যাপ, আর এতে যুক্ত ছিলেন সমীরও। ২৫ কোটি থেকে পরে ১৮ কোটিতে ফাইনাল হয় ডিল।’