২০১৬ সালের ১লা এপ্রিল- হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়াতে আচমকাই নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। চার বছর আগে এইদিনেই আত্মহত্যা করেছিলেন ছো🐻টপর্দার ‘বালিকা বধূ’ প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত বছর পরেও মেয়েকে সুবিচার পাইয়ে দিতে ল꧑ড়ছেন তাঁর বাবা-মা। প্রত্যুষাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা আদালতে বিচারাধীন।
লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট। মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই একটা ফুলের মালাও জোগাড় করতে পারেননি প্রত্যুষার বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পটবয়ইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি 🌌জানিয়েছেন, সত্যি বলতে আমি আজ মেয়ের জন্য একটা ফুলের মালা জোগাড় করতেও পারলাম না। বাড়ির বাইরে বার হলেই পাওয়া যায় কিন্তু এবার পেলাম না। অনেক কষ্টে কিছু ফুল জোগাড় করেছিলাম সেগুলো দিয়ে নিজেই মালা গেঁথে নিলাম।
যদিও মালা না পাওয়াটা খুবই এ𒐪কটা ক্ষুদ্র ঘটনা, মেয়ের আত্মহত্যার মামলার আইনি প্রক্রিয়া যেভাবে চলছে সেই নিয়েই বরং বেশি ক্ষোভ রয়েছে এই শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে। তিনি বলেন, মূল বিচার প্রক্🧸রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তবে দিনদোষী আদালতে রাহুলের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে একবার। আমাকে দেখেই ওর মুখের ভাব পাল্টে গেল। ঘাম ঝড়ছিল।
প্রত্যুষার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বালিকা বধূ কো-স্টার শশাঙ্ক ব্যায়াস প্রত্যুষার ছবি পোস্ট করে একটি আবেগঘন বার্তা লেখেন, যাঁদের আমরা ভালোবাসি তাঁরা কোনওদিনই আমাদের ছেড়ে যায় না, আমাদের মধ্যেই তাঁরা প্রত্যেকদিন বেঁ🤡চে থাকে। দেখা যায় না, শোনাও যায় না তবে সবসময় পাশ🔯ে থাকে, আজও ভালোবাসি, এখনও’।
প্রত্যুষার মৃত্যুর তিনমাস পড়ে রাহুলকে জামিনে মুক্তি দেয় বম্বে হাইকোর্ট। রাহুল দাবি করেছিল ২০১৬-র ডিসেম্বরে নাকি বিয়ে করার প্ল্যানিং ছিল তাদের। এবং রাহুল অভিযো🍨গ করেছিল প্রত্যুষা ভীষণরকমভাবে বিধস্ত ছিল বারংবার তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে বাবা-মা’র হস্তক্ষেপ নিয়ে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়ের মৃত্যু সম্পর্কে প্রত্যুষার বাবা-মা জানিয়েছিল, ‘মুম্বইয়ে আসার পর থেক🐎েই আমার মেয়ে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিল না। রাহুল আমাদের সঙ্গে থাকত। ও ফন্দি এঁটে আমাদের আলাদা করে দেয় মেয়ের থেকে, এবং এরপর আমার মেয়ের ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করে এবং বলে ওরা লিভ ইন রিলেশনে রয়েছে। রℱাহুল চক্রান্ত করেছে, আমার মেয়ের উপর চাপ দিয়েছে এবং ওকে মেরে ফেলেছে’।