বাংলা টেলিভিশন তথা সিনেমার পরিচিত মুখ পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়। তবে হালে বড়পর্দায় সেভাবে কাজ করেননি। মাঝে একটা সময় তো সন্তান সামলাতে কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিতে বসেছিলেন পুষ্পিতা। তবুও লাভ হয়নি! অবশেষে ছেলেকে নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন-‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খিস্তি’, রেস꧃্তোঁরার মালিককে কষিয়ে ৪টে চড় তৃণমূল বিধায়ক সোহমের!
শতচেষ্টা করেও ছেলের আসক্তি কাটাতে ব্যর্থ। ফোন সারাক্ষণ ‘গেম’ খেলে ছেলে। দিদির মঞ্চে হাজির হয়ে রচ🅠নার সামনে এই দ♏ুশ্চিন্তার কথা মাস কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন পুষ্পিতা। মুঠোফোনের এই নেশা ঘিরে ধরেছে ছেলেকে, শতচেষ্টা করেও গেমিং-এর নেশা দূর করতে পারেননি। এই কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন পুষ্পিতা। কাতর স্বরে বলেছিলেন, ‘দিদি তুমি দেখো না আর্জি করে যদি এই গেম তৈরি বন্ধ করা যায়।’
ছেলের সেই আসক্তি কাটিয়ে উঠতে না পারায়, ছেলেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন পুষ্পিতা। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে পুষ্পিতা পুত্র। নবম শ্রেণির ছাত্র পুষ্পিতা পুত্র। কর্মসূত্রে অভিনেত্রীর স্বামী দিল্লিতে থাকেন। তবে বাবার সঙ্গে থাকবে ছেলে এমনটা নয়। অভিনেত্রীর কথায়,꧟ ‘প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। বাধ্য হয়েই দিল্লিতে পাঠালাম। যদি হস্টেলে থেকে কিছুটা উন্নতি হয়।’
ছেলের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর সম্মতি নিয়েই তাঁকে বোর্ডিং-এ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন পুষ্পিতা ও তাঁর স্বামী। তবুও মায়ের মন! ছেলেকে ছেড়ে কোনওদিন থাকেননি। তাই মন কাঁদছে। ছেলের গরমের ছুটি চলছে। ওদিকে শনিবার মাসের দ্বিতীয় শনিবার হওয়ায় স্টুডিওপাড়া তালাবন্ধ। চারদ🌌িনের ছুটি ম্যানেজ করে শুক্রবারই দিল্লি উড়ে গেছেন꧑ পুষ্পিতা।
দিদি নম্বর ১-এ🔯র মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুষ্পিতা বলেছিলে, 'ছেলেটা ভালো নেই একদম। কথা শোনে না। দিশেহারা হয়ে ༺যাচ্ছি। আমি ওর বাবা দুজনেই।' তিনি এরপর আরও যোগ করেন, 'সব ট্রাই করেছি আমরা। টাকা ঢেলেছি, নানা জিনিসে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু নেট রেজাল্ট জিরো। পড়াশোনায় জিরো। কিছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না, এত ফোনের নেশা ওর।'
পুষ্পিতা একা নন, বর্তমানে অনেক বাবা-মা'ই এই সমস্যার মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছেন। মোবাইল গেমিং-এ শিশুদের অতিরিক্ত আসক্তি অনেকসময় প্রাণঘাতী পর্যন্ত হয়ে উঠছে। এমনই সব বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে পরিচালক রাজ🦩 চক্রবর্তী তৈরি করেছিলেন ‘হাবজি গাবজি’। ছবিতে লিড রোলে অভিনয় করেন পরমব্রত চট্ট🦋োপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং সমন্ত্যক দ্যুতি মিত্র।